চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
ভগ্নিপতি ক্যান্সার আক্রান্ত। তাঁরই চিকিৎসা করাতে ভুবনেশ্বর যাত্রা করেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা থানার সন্ধিপুর সংলগ্ন বাহারবনির বাসিন্দা প্রশান্ত সরকার। হয়েছিলেন অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রী। কিন্তু বাড়ি ফেরা হল না পেশায় মালবান্দী আশুতোষ বিদ্যামন্দিরের আইসিটি প্রজেক্টের চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষক প্রশান্ত’র। পরিবারের একমাত্র রোজগেরের মৃত্যুতে আতান্তরে শোকতপ্ত পরিবার। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে আর্থিক সহায়তা করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা।
চাষবাস করে ও সামান্য বেতনের চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষকের চাকরি করে স্ত্রী, বাবা-মা এবং পাঁচ বছরের মেয়ে-কে নিয়ে সংসার চালাতেন প্রশান্ত সরকার। ক্যানসার আক্রান্ত ভগ্নিপতির চিকিৎসার জন্য ভুবনেশ্বরের পথে ট্রেন দুর্ঘটনার বলি হয়েছেন তিনি। পরিবারের সংকটজনক পরিস্থিতিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের তরফে শোকতপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। পরিবারের সদস্যদের হাতে ২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন তিনি। সেই সঙ্গে পরবর্তীতেও পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এই দিন জেলা সভাপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ, অঞ্চল সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। প্রশান্তের স্ত্রী শুভ্রা সরকার উচ্চ শিক্ষিত। তিনি এম.এ পাশ এবং বি.এড প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন। তাঁর চাকরীর জন্য পরিবারের তরফে জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার কাছে অনুরোধ করা হলে, তিনি নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন।