গাজায় মৃত্যুমিছিল, হুহু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

গাজায় মৃত্যুমিছিল, হুহু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

গাজায় মৃত্যুমিছিল। প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ সেই মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম। অবোধ শিশু থেকে শুরু করে নারী, বয়োবৃদ্ধ কেউ বাদ যাচ্ছেন না। হাসপাতালে লাশ। রাস্তায় রাস্তায় লাশ। ধ্বংসস্তূপের নিচে লাশ। এত লাশ দাফন করারও যেন স্থান সঙ্কট হয়ে পড়েছে। স্বজনের লাশ সামনে রেখে আল্লাহর কাছে বিচার দিচ্ছেন গাজাবাসী। তাদের চোখের অশ্রু শুকিয়ে গেছে। পান করার জল নেই।

খাবার নেই। ওষুধ নেই। বিদ্যুৎ নেই। জ্বালানি নেই। এ যেন এক নরক যন্ত্রণা ভোগ করছেন তারা। তার মধ্যে আকাশ থেকে নির্বিচারে ফেলা হচ্ছে বোমা। এতে আবাসিক ভবন, বেসামরিক স্থাপনা কিছুই রক্ষা পাচ্ছে না। মুহূর্তের মধ্যে মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে বহুতল ভবনগুলো। নির্বাক তাকিয়ে দেখছেন তারা চারদিকে ধ্বংসস্তূপ। মৃত্যুর বিভীষিকা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে নিহতের সংখ্যা ৭০২৮ ছাড়িয়ে গেছে। তারপরও ইসরাইল অব্যাহত বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এরই মধ্যে সিরিয়ায় ইরান ও ইরান সমর্থিত গ্রুপের স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা জানিয়েছে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের সঙ্গে এই হামলা সম্পর্কিত নয়। নিহতের সংখ্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সংশয় প্রকাশ করার পর গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহত কয়েক হাজার ফিলিস্তিনির নাম প্রকাশ করেছে। বলেছে, এসব নামের এক একটিতে লুকিয়ে আছে এক একটি কাহিনী।

ওদিকে হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়ে সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, গাজায় ইসরাইলের চলমান আগ্রাসন পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। বৃহস্পতিবার গাজা ইস্যুতে জরুরি বৈঠক শুরু করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এতে আজ শুক্রবার জর্ডান একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করবে এবং তার ওপর ভোট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ