আপনি যেখানেই যান, কপাল নয়, সঙ্গে পাবেন ‘বাঙালি’কে। আর বাঙালি যেখানেই যায়, সেখানে বহন করে তার শিক্ষা, সংস্কৃতির উত্তরাধিকার। তাই সুদূর কানাডার ছোট্ট শহর উইন্ডসরেও হয় দুর্গোৎসব। সেই দুর্গাপুজোয় সেই প্রায় অচেনা শহরেও গড়ে ওঠে এক টুকরো বাঙালিয়ানা।
শুধু কানাডা নয়, উত্তর আমেরিকায় বিভিন্ন বড় বড় শহরে একাধিক বড় বড় দুর্গাপুজো হয়৷ টরন্টো শহরেই আছে একাধিক বাঙালিদের সংগঠন যাঁরা দুর্গাপুজো আয়োজন করেন। কানাডার অন্যান্য শহরে যেমন মন্ট্রিয়ল ইন্ডিয়ান বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন, ক্যালগেরি আমরা সবাই প্রভৃতি। আরে ভারে তাঁদের দুর্গাপুজো বেশ কুলীন। কিন্তু এই উইন্ডসরে বাঙালিদের ছোট্ট সংগঠন ‘স্পন্দনে’র পুজো কোথাও গিয়ে যেন আলাদা। বাংলাদেশ ও ভারতের বাঙালিদের এই সংগঠনের পুজো সাংগঠনিক নয়, বরং ঘরোয়া।
- Advertisement -
প্রায় বছর দশেক আগে এই প্রবাসে দুর্গা প্রতিমা আনা হয়েছিল দেশ থেকে। এখনও প্রতিবছর সেই প্রতিমা পুজো হয়। কিন্তু দেশের মতো ৫ দিন ধরে নয়, স্পন্দনের পুজো শনি ও রবিবারের। ইচ্ছা থাকলেও পাঁজি মেনে পুজো সম্ভব হয় না। প্রায় ৫০-৬০ টি বাঙালি পরিবার স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশ নেন স্পন্দনের দুর্গোৎসবে। পৌরহিত্য করেন স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক ডঃ সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়। উপাচার মেনে হয় পুজো।
- Advertisement -
পুজো মানেই বাঙালির আনন্দ, উৎসব৷ পিছিয়ে থাকেন না উইন্ডসরের প্রবাসীরাও। আয়োজিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রবীন্দ্র নাট্য, সংগীত, নৃত্য পরিবেশিত হয়। পুজোর কয়দিন দু’বেলা থাকে ভোগেরও আয়োজন। কিন্তু আয়োজিত কিঞ্চিৎ বিচিত্র। এখানের পরিবারগুলি নিজেরা নিজেদের বাড়ি থেকে রান্না করে আনেন বিভিন্ন নিরামিষ পদ। বাড়ি থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে ভাষার আত্মীয়তা দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে বয়ে আনে একটুকরো বাঙালিয়ানা।