নতুন মরশুমেও জয়ের দেখা পেল না ইস্টবেঙ্গল এফসি(East Bengal)। উদ্বোধনী ম্যাচেই হার কেরালা ব্লাস্টার্সের(Kerala Blaster) কাছে। কোচির জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে ৩-১ গোলে হারলো লাল-হলুদ।
হোম এবং অ্যাওয়ে ফরম্যাটে ফের শুরু হল আইএসএল(ISL)। কোচির স্টেডিয়াম ছিল ভর্তি। সেই মাঠেই হার দিয়েই শুরু করলো লাল-হলুদ৷ এই দিনের খেলায় বারবার কাপন ধরেছে লাল-হলুদ রক্ষণে৷ ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় বল পান অ্যালেক্স লিমা। কিন্তু বক্সের কাছে বল পেয়ে পোস্টের নীচের ডানদিকের কোনে বল পাঠালেও অসাধারণ দক্ষতায় বাচান প্রভসুখন গিল। ইস্টবেঙ্গল প্রথমার্ধে ঐ একটিই সঠিক সু্যোগ পেয়েছিল। তারপর থেকেই খেলা নিজেদের দিকে নিয়ে আসে কেরালা। বারবার আক্রমণ উঠে আসছিল ইস্টবেঙ্গল বক্সে৷ ম্যাচের ২৬?মিনিটে দিয়ামাঙ্কোসকে, ইভান গঞ্জালেসের ফাউল করা নিয়ে ফুটবলাররা সামান্য হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। যদিও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। প্রথমার্ধ ছিল গোল শূন্য।
দ্বিতীয়ার্ধে বারংবার আক্রমণ আসতে থাকে কেরলের তরফ থেকে। আপোস্তোলোস জিয়ান্নু ও লুনার শট অসাধারণ বাচান ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার কমলজিৎ সিংহ। এরই মধ্যে ৬০ মিনিটে দিয়ামাঙ্কোসের জার্সি টেনে ধরে লালচুংনুঙ্গা হলুদ কার্ড দেখেন। ৭২ মিনিটে কেরালা ব্লাস্টার্স এর প্রথম গোল। হরমনজোৎ খাবরার কাছে লং বল পেয়ে বাঁ পায়ে টাচে কিপারের মাথার উপর দিয়ে কেরালাকে এগিয়ে দেন লুনা। ৮২ মিনিটে ইভান কালিউঝিনি বল পেয়ে তিন লাল-হলুদ ডিফেণ্ডারকে কাটিয়ে ব্যবধান বাড়ান কেরালার পক্ষে। ৮৮ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ব্যবধান কমান অ্যালেক্স লিমা। কর্নার থেকে ক্লিয়ার করা চলতি বলে ভলিতে গোল করে যান তিনি৷ ৯০ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের হয়ে তৃতীয় গোল করে কেরালার জয় নিশ্চিত করেন ইভান কালিউঝিনি। ইস্টবেঙ্গল গোলের মতোই কর্ণার ক্লিয়ার করা বল থেকে চলতি গোল করে যান তিনি৷ ইস্টবেঙ্গল কোচ আগেই বলেছিলেন, ইস্টবেঙ্গল এই বছর সেমিফাইনালে খেললে অবাক হওয়ার বিষয় হবে। এদিন লাল-হলুদের খেলায় যেন কোচের কথার প্রতিধ্বনি। ডিফেণ্ডারদের হতশ্রী খেলা কনস্ট্যান্টাইনকে চিন্তায় রাখবে।