রবিবার হায়দরাবাদে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে চব্বিশের মূলমন্ত্র বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হিন্দু ছাড়াও অন্য ধর্মের নির্যাতিত, শোষিতদের কাছে পৌঁছতে বললেন দলীয় পদাধিকারীদের। সেই সঙ্গে দেশ থেকে বিরোধীদের পরিবারতন্ত্র, জাতপাত এবং তোষণের রাজনীতিকে সমূলে উৎখাত করার ডাক দিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদির মুখেও শোনা গিয়েছে,’বাংলার সন্ত্রাস’। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলায় আমাদের কর্মীরা খুন হচ্ছেন। তারপরেও দেশের স্বার্থে দলের পতাকা হাতে এগিয়ে চলেছেন।
গত দু’বছর করোনার কারণে ভার্চুয়ালি একুশে জুলাই উদযাপন করা হলেও ২০২২ এ ধর্মতলাতেই দিনটি পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। সামনেই পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচন। তাই একুশের মঞ্চ থেকেই আগামী দিনের রাজনৈতিক আন্দোলনের দিশা দেখাবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই সমাবেশ সফল করতে জেলা নেতৃত্বদের কাছে ন’দফা নির্দেশ জারি করল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। যেহেতু দু’বছর পর এই কর্মসূচি হচ্ছে, তাই এ বারের কর্মসূচির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। তাই এই নির্দেশিকা মেনেই চলতে বলা হয়েছে হয়েছে জেলা থেকে শুরু করে বুথস্তরের নেতাদের। তৃণমূলের এক রাজ্য নেতার কথায়, দু’বছর পর যেহেতু শহিদ দিবসের কর্মসূচি হচ্ছে, তাই কর্মিদের মধ্যে যাতে প্রস্তুতি নিয়ে কোনও ঢিলেমি না আসে, সেই কারণেই এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। আমরা কর্মীমহল থেকে যেমন সাড়া পাচ্ছি, তাতে এই নির্দেশিকা যথেষ্ট কার্যকরী হয়েছে।
বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সেকেন্ড ইন কমান্ড অমিত শাহ এদিন বলেন, বিজেপি খুব তাড়াতাড়ি বাংলা এবং তেলেঙ্গানায় ক্ষমতা দখল করবে। জাতীয় কর্মসিমিতির বৈঠকে এমনই প্রস্তাব পেশ করলেন অমিত শাহ। একইসঙ্গে বাংলা, কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওডিশা- বিজেপির সরকার তৈরি হবে। সুরক্ষিত ও সমৃদ্ধ ভারতের জন্য় বিজেপির সরকারের প্রয়োজন রয়েছে। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বাংলা নিয়ে বিশেষ অবস্থানও নিতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। বিজেপি একুশে বাংলা দখলের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিল। কিন্তু বাংলায় হেরে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে বিজেপি।