কুড়মি আন্দোলন নিয়ে কড়া রায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের। কুড়মিদের ‘রেল রোকো’ আন্দোলনকে বেআইনি রায় দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য আবেদন করতে পারবে রাজ্য সরকার৷
কুড়মিদের এসটি তালিকাভুক্ত করা, কোড সহ সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালী ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে কুড়মি সমাজের একাধিক সংগঠন। দীর্ঘদিন ধরে চলছে আন্দোলন। দফায় দফায় হয়েছে রেল অবরোধ, রাস্তা অবরোধ। গত ১ লা এপ্রিল থেকে পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজ ও আরও কয়েকটি কুড়মি সংগঠনের ডাকে শুরু হয় ঘাঘর ঘেরা আন্দোলন। পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি ও পুরুলিয়ার কুস্তাউরে নিরবিচ্ছিন্ন রেল অবরোধও চলে ৪-৫ দিন ধরে। পরে রেল অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
কুড়মি আন্দোলনের সময় বারংবার রেল অবরোধে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ঘাঘর ঘেরা আন্দোলনের সময় রেল অবরোধের জেরে প্রায় ৫০০ ট্রেন বাতিল হয়েছে৷ আগামী ২০ সেপ্টেম্বরও কুড়মি আন্দোলনের কারণে বহু ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ পূর্ব রেল। আন্দোলনের লক্ষ্য হিসাবে একাধিক বার রেল অবরোধের বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। অন্যদিকে কুড়মি নেতা অজিত মাহাতোর অভিযোগ, “রাজ্য সরকার পুলিশ দিয়ে যুদ্ধ ও সন্ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি করছে।” পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গে আন্দোলন আপাতত স্থগিত রাখার ঘোষণা করে তিনি জানিয়েছেন, উড়িষ্যা ও ঝাড়খণ্ডে ‘রেল ডেকা’ কর্মসূচি চলবে।