যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি দায়ী করলেন ‘মার্ক্সবাদী’দের। জানালেন, যাদবপুরের ঐ ছাত্রকে মার্ক্সবাদীরা মেরেছে। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
সোমবার বেহালার ম্যান্টনে দলীয় একটি কর্মসূচিতে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু ও র্যাগিংয়ের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যারা ছেলেটাকে উপর থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে, তারা সব মার্ক্সবাদী। এরা কখনও বিজেপি, কখনও কংগ্রেস।’’ মমতা আরও বলেন, ‘‘ওখানে কিছু আগমার্কা সিপিএম আছে। তারা ছেলেটার জামাকাপড় পর্যন্ত খুলে নিয়েছিল।’’ তিনি বলেন, “যাদবপুরের ওই ছেলেটির হাতে একটা মাদুলি ছিল। ওরা বলেছিল সেটা খুলতে হবে। যেন জমিজারি। ওটা যেন ওদের রেড ফোর্ট!’’ মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, ‘‘ওখানে পুলিশ ঢুকতে দেয় না। সিসিটিভি লাগাতে দেয় না। র্যাগিং করে। যাদবপুর এখন আতঙ্কপুর। অনেক জায়গায় গেলেও, যাদবপুরে আমি যেতে চাই না।’’
এখানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, “ওর বাবার সঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম। বগুলা থেকে কত স্বপ্ন নিয়ে পড়তে এসেছিল। কত স্বপ্ন নিয়ে ছেলেটার নাম রেখেছিল!’’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই খারাপ নয়, তা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওরা হয়তো পড়াশোনায় ভাল। তবে পড়াশোনায় ভাল হলেই সব হয় না।’’