চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
সুফি সাধক সৈয়দ শাহ মস্তান বাবার জলসা উপলক্ষ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আন্ধারিয়া গ্রামে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের সমাগম। আধ্যাত্মিক বিশ্বাসে আশীর্বাদ প্রত্যাশায় মানুষজনের আগমন।
কথিত আছে, সুফি সাধক সৈয়দ শাহ মস্তান বাবা প্রায় ২০০ বছর আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আন্ধারিয়া গ্রামে এসেছিলেন। সেই সময়ে এলাকার গ্রামগুলিতে প্রায়শই হত চুরি ডাকাতি। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, মস্তান বাবা আন্ধারিয়া এবং আশেপাশের গ্রামগুলিকে ডাকাত, চোরদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। তিনি আসার পর থেকে চুরি বা ডাকাতি বন্ধ হয়ে যায়। গ্রামবাসীদের আরও বিশ্বাস, মস্তান বাবার আশীর্বাদে প্রবল খরা থেকে রক্ষা পেয়েছিল পাশাপাশি সমস্ত গ্রাম। তাঁকে সাধক জ্ঞানে শ্রদ্ধা করেন স্থানীয় মানুষজন।
বহুকাল আগে হয়েছে তাঁর দেহাবসান। তারপর থেকে প্রতিবছর মার্চ মাসে আন্ধারিয়া গ্রামে জলসার আয়োজন করা হয় স্থানীয়দের তরফে। বিশ্বাসী মানুষ ভীড় করেন সাধকের আশীর্বাদ প্রত্যাশায়। এই বছরও আন্ধারিয়া গ্রামে সুফি সাধকের স্মরণে জলসার আয়োজন করা হয়েছিল। বিভিন্ন বর্ণ ও ধর্মের বিশ্বাসী মানুষ মস্তান বাবার আশীর্বাদ পেতে উপস্থিত হয়েছিলেন। আয়োজকদের তরফে দুঃস্থ মানুষজনদের জামা কাপড় ও পাশ্ববর্তী গ্রামগুলির দুঃস্থ শিক্ষার্থীদের বই বিতরণ করা হয়।