খড়গপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় নাটকীয় সাফল্য পুলিশের। পলায়নকারী ডাকাত দলকে ধাওয়া করে ধানের জমি থেকে পাকড়াও ২ জন। আকাশে ড্রোন উড়িয়ে ধরা হল জমিতে লুকিয়ে থাকা ডাকাতদের। বাকিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
শুক্রবার বেলা ১১ টা নাগাদ খড়গপুরের গোলবাজার এলাকার একটি সুপরিচিত সোনার দোকানে হানা দেয় ৫ জনের ডাকাত দল। নিজেদের গাড়িতে এসে তারা প্রথমে ক্রেতা সেজে দোকানে প্রবেশ করে৷ তারপর বন্দুক, ছুরি বের করে নিজমূর্তি ধারণ করে দুষ্কৃতিরা৷ দোকানের মালিক অসিত দত্ত ও অন্যান্য কর্মচারীদের সামনে বন্দুক ধরে চলে লুটপাট। বাধা দেওয়ায় এক কর্মীর হাতে বসানো হয় ছুরির কোপ। দোকানের মালিক অসিতবাবু চিৎকার করে ওঠায় তাঁর বুকে গুলিচালায় দুষ্কৃতিরা। মুহূর্তে লুটপাট শেষ করে পালায় তারা। গুরুতর আহত অবস্থায় অসিতবাবু মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়েই এলাকা জুড়ে তল্লাশিতে নামে খড়গপুর থানার পুলিশ। ডাকাত দলের সন্ধান পেতেই খড়গপুর থানার পুলিশ ধাওয়া করে তাদের। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে গোপীবল্লভপুর হয়ে ওড়িশা পালাতে চেষ্টা করে স্করপিও গাড়িতে থাকা ডাকাতেরা। ফেকো মোড়ের কাছে জাতীয় সড়ক থেকে বাঁদিকে ঢুকে পড়ে ডাকাত দলের গাড়ি। খবর পেয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নেতৃত্বে বেলিয়াবেড়া থানার অন্তর্গত রান্টুয়া এলাকায় ব্যারিকেড তৈরি করে বিশাল পুলিশ বাহিনী। রান্টুয়া এলাকায় পুলিশের ব্যারিকেড দেখে হতচকিত ডাকাত দল গাড়ি ফেলেই ধান জমিতে লুকিয়ে পড়ে। ড্রোন দিয়ে তল্লাশি চালিয়ে ২ জনকে পাকড়াও করা হয়।
পুলিশের অনুমান, স্করপিও গাড়িতে থাকা বাকি ডাকাতেরা ঐ এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের সন্ধানে এলাকা জুড়ে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে বেলিয়াবেড়া থানা, গোপীবল্লভপুর থানা সহ একাধিক থানার পুলিশ বাহিনী। রয়েছেন ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও।