একটানা দু দিন বৃষ্টির জেরে সুবর্ণরেখা নদীর জল এমনিতেই বেড়ে গেছে। তারই মধ্যে ঝাড়খন্ডের গালুডি ব্যারেজ থেকে শনিবার রাতে জল ছাড়া হয়। প্রায় ৪ লক্ষ ৯০ হাজার কিউসেক জল গালুডি ব্যারেজ থেকে শনিবার রাতে ছাড়া হয়।শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত মোট ৬ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয় গালুডি ব্যারেজ থেকে, এমনটাই জানা গিয়েছে প্রশাসন সূত্রে।নদীতে জলস্ফীতি হওয়ায় মূলত পশ্চিম মেদিনীপুরের কোশিয়াড়ি ও দাঁতন ব্লকের সুবর্ণরেখা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে কোশিয়াড়ি ও দাঁতন ব্লকের নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষেরা।
রবিবার ভোর থেকেই ক্রমশ বেড়ে চলেছে নদীর জল।দুশ্চিন্তায় রয়েছেন নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষজন। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে , প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে দাঁতন ব্লকের বালিডাংরি, রাউতারাপুর সহ অন্যান্য পাশ্ববর্তী এলাকায়। অপর দিকে কোশিয়াড়ি ব্লকের অমিলাসাই, আটাঙ্গা সহ বেশ কিছু এলাকায়। সুবর্ণরেখা নদীর তীরবর্তী বেশ কিছু অঞ্চলে ইতিমধ্যেই মাইকিং করে সকাল থেকে চলছে প্রচার।জল যেভাবে বেড়ে চলেছে এভাবে বাড়তে থাকলে বন্যা হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্লক প্রশাসন।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, দু’দিন টানা ভারী বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে এমনিতেই নদীর জল বেড়ে গিয়েছিল খানিকটা।এই সময়ে গালুডি ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় তা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গিয়েছে। আমাদের প্রশাসন থেকে ইতিমধ্যে জানিয়েছে পাকা কংক্রিটের তৈরি স্কুল বাড়িতে আশ্রয় নিতে। কারণ যে কোনও মূহুর্তে বন্যা হতে পারে। বন্যা হলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। এর মধ্যেই ফসল রাখার জায়গায় জল ঢুকে গিয়েছে।এরপর বন্যা হলে ফসল সহ ঘরবাড়ি সব যাবে।