এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বেকায়দায় রাজ্য সরকার। নিয়োগে অনিয়মের মামলাতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের তরফে।
প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর টেট পরীক্ষা, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফলপ্রকাশ ও ঐ বছরেই প্রথম মেধা তালিকা প্রকাশ হয়। এরপর ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর একটি দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়। রমেশ আলি নামে ব্যক্তি দ্বিতীয় প্যানেলকে অবৈধ ও বেআইনি দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। আবেদন কারীর আইনজীবীর দাবি, পরীক্ষায় একটি প্রশ্ন ভুল থাকায় প্রথম তালিকার নিয়োগ হয়ে যাওয়ার পরে নম্বর বাড়ানোর দাবি ওঠে। আদালতের প্রশ্নের উত্তরে সংসদের আইনজীবী জানিয়েছেন, সকলের নম্বর বৃদ্ধি হয়নি। আবেদনের ভিত্তিতে ২৬৯ জনের এক নম্বর করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এরপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দ্বিতীয় মেধাতালিকায় নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও সম্পাদক রত্না চক্রবর্তী বাগচিকে সোমবার বিকেলে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ২৬৯ জন শিক্ষককে বরখাস্ত ও বেতন বন্ধের পাশাপাশি মঙ্গলবার থেকে স্কুলে প্রবেশ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ও নথি ন্যাশনাল ইনফরমেটিভ সেন্টারকে তদন্তের স্বার্থে সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।