পুরুলিয়ার কামতা-জাঙ্গিদিরী গ্রাম পঞ্চায়েত এবং বামনি-মাঝিহিড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমানায় অবস্থিত কুদা চাকা নদীঘাট সেতু। স্থানীয়দের কাছে বাঁধাঘাট নামে পরিচিত এই সেতুর দীর্ঘকালীন বেহাল অবস্থাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীদের মধ্যে ক্রমশ তৈরি হচ্ছে অসন্তোষ। অভিযোগ, এলাকায় যাতায়াতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেতুটির বেহাল অবস্থা নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে একাধিক বার দরবার করা হলেও মেলেনি সুরাহা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাকা নদীর উপরের সেতুটি একসময় ছিল ভাসা পোল। বর্ষায় বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হয় হতো। এরপর বহু আবেদন নিবেদনের ফলে প্রায় ২০ বছর আগে কংক্রিট পাইপ বসিয়ে ব্রিজ ঢালাই হয়। কিন্তু সমস্যার বিশেষ সমাধান হয়নি। বর্ষায় এক টানা বৃষ্টি হলেই জলের তলে সেতুর উপরে চলে যায়। শুধু তাই নয়, সেতুতে নেই কোনো গার্ড ওয়াল বা গার্ড রেলিং। সেতু জুড়ে বিছিয়ে একরাশ পাথরের টুকরো। ফলাফল প্রায়শই বিভিন্ন দুর্ঘটনা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গাড়ি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় সেতু থেকে পনেরো ফুট নীচে নদী খাতে পড়েছে।
যোগাযোগর মাধ্যম হিসেবে সেতুটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সকালেই যাতায়াত করে পুরুলিয়া ও বান্দোয়ানগামী একাধিক সরকারি বেসরকারি বাস। চলে টাটা ম্যাজিক ভ্যান। সেতুর একদিকে কুদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অন্যদিকে মাঝিহিড়া জাতীয় বুনিয়াদি বিদ্যালয় এবং মাঝিহিড়া ডিএলএড প্রতিষ্ঠান। এটি মানবাজার যাওয়ারও অন্যতম রাস্তা। ফলে যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী পাকা ও নিরাপদ সেতুর দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী ও নিত্যযাত্রীরা।