দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপি মনোনীত প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। নির্বাচন কমিশনের হিসাবে বাংলার ৭১ জন বিধায়কের ভোট পেয়েছেন তিনি। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে খাতায় কলমে রাজ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৫ জন হলেও বর্তমানে পাঁচ জন যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। সেক্ষেত্রে গাণিতিক হিসাবে বিজেপির পক্ষে প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর ভোট পাওয়া উচিত ছিল ৭০টি। কিন্তু একটি বাড়তি ভোট গিয়েছে তাঁর খাতায়। সেই ভোটটিকে তৃণমূলের ‘ক্রস ভোটিং’ বলে চিহ্নিত করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তৃণমূলের তরফে তাঁর দাবি অস্বীকার করা হয়েছে।
কৃষ্ণনগর উত্তরের মুকুল রায়, বাগদার বিশ্বজিৎ দাস, বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ, রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী এবং কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায় বিজেপির টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে বিধায়ক নির্বাচিত হলেও বর্তমানে তৃণমূল শিবিরে। ফলে বিজেপির তরফে ৭৫ বিধায়কের বদলে ৭০টি ভোট পাওয়ার কথা ছিল বিজেপি মনোনীত প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। কিন্তু মিলেছে ৭১টি ভোট। তা নিয়েই টুইট করে শুভেন্দু অধিকারীর বিশ্লেষণ, ‘আমার প্রতিশ্রুতি মতোই বিজেপির ৭০ জন বিধায়ক দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তৃণমূলের এক জন বিধায়ক ক্রস-ভোটিং করেছেন।’ একই সঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভা ও লোকসভা সাংসদদের মধ্যে ৪ জন ক্রস-ভোটিং করেছেন বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর ব্যাখ্যা, ৪টি ভোটের ২টি দ্রৌপদী পেয়েছেন এবং ২টি ভোট বাতিল হয়েছে।