মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরুষ বিভাগের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে শয্যা পেলেন না বিনপুরের প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক দিবাকর হাঁসদা। গলব্লাডারের স্টোন অপারেশনের জন্য ভর্তি হয়ে শয্যার অভাবে দীর্ঘ ১৮ ঘন্টা মেঝেতেই কাটলো তাঁর। অবশেষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর পরিচয় জানার পরে তাঁর জন্য শয্যার ব্যবস্থা করেন।
বিনপুরের প্রাক্তন বিধায়ক দিবাকর হাঁসদা। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিনপুরের সিপিআইএম বিধায়ক ছিলেন তিনি। বিধায়ক থাকার জন্য মুমূর্ষু রোগীদের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তির তদবির ও শয্যার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে নিজের জন্যই শয্যার ব্যবস্থা করতে পারেননি তিনি। অবশেষে ১৮ ঘন্টা পরে শয্যা পান তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর বক্তব্য, শয্যার তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়াতেই এই সমস্যা। যদিও প্রাক্তন বিধায়কের পরিচয় জানার পরেই ব্যবস্থা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে প্রাক্তন বিধায়কের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরই রাজ্যেই স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিরোধীদের বক্তব্য, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কারনে সরকারী টাকায় বেসরকারি হাসপাতালগুলি লাভবান হচ্ছে। অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালগুলির অবস্থা তথৈবচ। একই সঙ্গে আলোচ্য বিষয় হয়েছে বাম নেতৃত্ববর্গের সাদামাটা জীবনযাপনও। বর্তমান সময়ে সাধারণত নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিমাত্রেই যেখানে বেসরকারি ঝাঁ চকচকে হাসপাতালে উন্নত পরিষেবা, সেখানে একজন প্রাক্তন বাম বিধায়ক সরকারি হাসপাতালে মেঝের আশ্রয় নিয়ে বেডের প্রতীক্ষা করছেন।