হুলা পার্টি নাম দিয়ে কিছু বেকার যুবকদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে বনদপ্তর

হুলা পার্টি নাম দিয়ে কিছু বেকার যুবকদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে বনদপ্তর

কলমে-তপন কান্তি মাহাত

মরবেই,টিলকা মূর্মূ,গৌরাঙ্গ মাহাতোরা এভাবেই মরবে।ওরা হুলা পার্টি মানে হাতি তাড়ানো ছেলে।গত পরশু বরবাড়ির কাছে হাতি তাড়াতে গিয়ে হুলা পার্টির সদস্য টিলকা মূর্মূ,গৌরাঙ্গ মাহাতো নামের দুটো তাজা ছেলেকে হাতি পিষে মেরে ফেললো।

হুলা পার্টি,বনদপ্তর এ গ্রাম,সে গ্রাম মিলে কিছু সাহসী ছেলে যোগাড় করে বিনা প্রশিক্ষনে দৈনিক 4/5 শত টাকার দিন মজুরীতে হাতি তাড়ানো কাজে নামিয়ে দিয়েছে।এদের কেউ ট্রেনিং দেওয়ার কথাটা ভাবলোই না।এরা হাতিচরিত্র,গতিবিধি সম্পর্কে কিছুই জানে না।এরা জানে না কোন গ্রামে কি ভৌগলিক চিত্র। হটাৎ হাতির হানার খবর পেলে এদের ডেকে গাড়িতে চাপিয়ে সন্ধ্যার পর অন্ধকারে কোনো গ্রামের বাইরে নামিয়ে দিয়ে হাতি তাড়াতে বলা হয়।সম্বল মশাল,টর্চ লাইট ,কারো হাতে বল্লম।এরা জানেই না অন্ধকারের মধ্যে ভিন গ্রামের কোথায় পুকুর,কোথায় কাঁটা ঝোপ।হাতি তাড়া করলে পালাবার পথ তাদের জানা নেই। প্রতি দলে একটি,দুটি মারাত্মক গুন্ডা হাতি থাকে। হুলা পার্টির নামে অপ্রশিক্ষিত আনকোরা বেকারদের তাদের মুখে ফেলে বন দপ্তরের বীট অফিসার,রেন্ঞ্জ অফিসারেরা বাসায় সুখে রাত কাটান।বিশ্বাস করুন এদের সাথে বনদপ্তরের কেউ থাকে না।এরা স্রেফ দিন মজুর,এদের কোন আর্থিক দায়িত্ব বনদপ্তর নেয়না।এদের জীবনের বীমাটুকুও নেই।এরা মারা গেলে শুধু হাতির হানায় সাধারন কেউ মারা গেলে যে আর্থিক সাহায্য পায় সেটুকু দিয়ে বন দপ্তর দায় সারে।

আরও পড়ুন:  Panchayat Result : খাতা খুললো কুড়মিরা, পুরুলিয়ার সিরকাবাইদ অঞ্চল কুড়মিদের দখলে

কেন তাদের বন দপ্তরের স্থায়ী কর্মী করা হবে না?কেন তারা মারা গেলে তাদের পরিবারের কাউকে চাকরি দেওয়া হয় না?ভোট লুট করতে বোমাবাজি করে শাসকদলের কেউ মরলে যদি মুখ্যমন্ত্রী তাদের চাকরি দিতে পারে তবে হুলা পার্টি টিলকা মূর্মূ,গৌরাঙ্গদের পরিবারের কেউ চাকরি পাবে না কেন??

আরও পড়ুন:  Panchayat Result : খাতা খুললো কুড়মিরা, পুরুলিয়ার সিরকাবাইদ অঞ্চল কুড়মিদের দখলে

ছবির ঐ তিনটি হাতি একসাথে আক্রমন করে ঐ দুজনকে মেরে ফেলেছে।এই হাতিগুলি মশাল,সার্চ লাইটকে পরোয়া করছে না,এরা ভীষন আক্রমনাত্মক।

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ