নেতাই শহীদ দিবসের প্রাক্কালে নেতাই শহীদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির উপদেষ্টা পদ থেকে অপসারিত হলেন বিধায়িকা তথা মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক গুঞ্জন।
২০১১ সালের জানুয়ারি মাস। সেই দিন নেতাই গ্রামে গুলি চলে গ্রামবাসীদের উপর। মৃত্যু হয় ৯ জনের। রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদলের পর থেকে শাসজ দল তৃণমূলের তরফে নেতাই শহীদ দিবস পালিত হচ্ছে। কিন্তু গত রবিবার সেই কমিটি থেকে কমিটির সম্পাদক তথা যুব তৃণমূলের লালগড় অঞ্চল সভাপতি স্মরজিৎ রায় অপসারিত হয়। ফলে সহীদ দিবস কমিটিতে নেতাইয়ের কোনো বাসিন্দা আর নেই৷ বিষয়টি জানানো হয় বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদাকে৷ কিন্তু তিনি এখনও কোনো পদক্ষেপ নেন নি। এরপরেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সভা ডাকে নেতাই শহীদ স্মৃতিরক্ষা কমিটি। সেখানেই উপদেষ্টা পদ থেকে বিধায়িকা তথা মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শহীদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির বক্তব্য, নেতাইয়ের কোনো বাসিন্দাকে শহীদ দিবস কমিটিতে না রেখে মন্ত্রী প্রকারান্তরে নেতাইয়ের ভূমিকা অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি অপমানজনক বলেও উষ্মার সৃষ্টি হয়েছে।