অভিজিৎ বেরা: আজ মকর সংক্রান্তি বা পৌষ সংক্রান্তি। টুসু গানে মজে জঙ্গলমহল। পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়া, মেদিনীপুর থেকে ঝাড়গ্রাম জঙ্গলমহল জুড়ে অন্যান্য উৎসবকে ছাপিয়ে এক অনন্য উৎসব হয়ে উঠেছে মকর সংক্রান্তি। কিন্তু এর পরের দিনটিও যে এক বিশেষ দিন তা হয়তো ভুলে গেছে জঙ্গলমহলবাসী। ১ লা মাঘ শুরু হয় কুড়মালি নববর্ষ। যা কুড়মী জনজাতির কাছে একটি বিশেষ দিন।তবে বাংলা-ইংরেজির মাঝে হারিয়ে যেতে বসেছে কুড়মালি নববর্ষ। তেমন ভাবে ব্যবহৃত না হওয়ায় প্রথম দিন ছাড়া তারিখ ও সাল মনে করতে গিয়ে মগজে ঠোকা দেন অনেক কুড়মী যুবক ও যুবতী।
তবে জঙ্গল মহলের কুড়মী ভোট ব্যঙ্ক নিজেদের দখলে রাখতে এবং কুড়মী জনজাতির মনপেতে কুড়মালি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে ভুলেননা এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।
- Advertisement -
জঙ্গলমহলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর গৌরবময় ইতিহাসকে মাটির নিচে পুঁতে এভাবেই নির্বাচনী প্রচারের কৌশল বছরের পর বছর ধরে জঙ্গলমহল জুড়ে চলে আসছে। যা কুড়মী সহ অন্যান্য জনজাতির উৎসবে পরিলক্ষিত হয়।
কিন্তু শুভেচ্ছা বার্তা ছাড়া এই সব উৎসব গুলোকে কখনোও তেমনভাবে গুরুত্ব দেননি কোন জনপ্রতিনিধিই।১লা বৈশাখ হোক বা ১লা জানুয়ারী, রাজ্য সরকার ঘটনাক্রমে এইসব অনুষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করলেও করম পরব- কুড়মালী নববর্ষ– অ্যাখান যাত্রায় ছুটির কথা শোনা যায়নি কখনোও। জঙ্গলমহল ও পাহাড়ের অন্যান্য আদিবাসী জনগোষ্ঠী গুলির প্রধান প্রধান উৎসবেও কমবেশি সেই একই চিত্র বিদ্যমান। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় শুভেচ্ছা বার্তা দিতে তারা ভুলেননা।
তাই প্রশ্ন থেকেই যায় সত্যিই কি ভালোবেসে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন, না সবটাই ভোট ব্যাংকের রাজনীতি?