সিবিআই হেফাজতে মৃত বগটুই কান্ডের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের মৃতদেহ নিয়ে পরিবার ও গ্রামবাসীদের সিবিআই ক্যাম্পের সামনে ধর্ণাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হল রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী শিবিরে। অন্যদিকে লালনের পরিবারের তরফে সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল সিবিআই।
বুধবার রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে লালনের দেহ নিয়ে রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী শিবিরের সামনে এসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন লালনের পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসীরা৷ সিবিআই আধিকারিকদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে জানিয়ে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে শিবিরে প্রবেশের চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। অফিসের বাইরে মোতায়েন জওয়ানদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও পুলিশ বাহিনী৷ অবশেষে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷
অন্যদিকে লালন শেখের মৃত্যুতে ৭ আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন মৃত লালন শেখের স্ত্রী, রেশমা বিবি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন, তোলাবাজির অভিযোগ-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে সিবিআইয়ের ডিআইজি এবং এএসপি-সহ মোট ৭ জনের নামে। সেই এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল সিবিআই৷ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন।