Mahalaya 2022: মহালয়ার দিন দেবীর চক্ষুদানে শুরু হয় দেবীপক্ষ

Mahalaya 2022: মহালয়ার দিন দেবীর চক্ষুদানে শুরু হয় দেবীপক্ষ

 

বসন্তকালে দেবী দুর্গার পুজো করা হত। যা বর্তমানে বাসন্তী পুজো নামে পরিচিত। এই পুজোর মূল পুরোহিত ছিলেন রাবন। দেবী ছিলেন তাঁর কুলদেবী। রাবনকে বধের জন্য দেবী অকালে শ্রীরামচন্দ্র দেবীর আবাহন করেন। পৌরহিজ করেন রাবন স্বয়ং। শরৎকালে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন তাই শারদীয়া অকালবোধন নামেও পরিচিত। দেবীর চক্ষুদানের মাধ্যমেই দেবীপক্ষের সূচনা হয়।

বাংলায় প্রধানত ইংরেজ আমলে জমিদার ও রাজন্যবর্গীয়দের পৃষ্ঠপোষকতাই দুর্গোৎসব জনপ্রিয় ও বহুল প্রচলিত হয়। সেই সময়ে রথের দিন কাঠামো পুজো হত এবং মহাসপ্তমীতে নবপত্রিকা প্রবেশের পর দেবীর চক্ষুদান পর্ব হত। পরে মহালয়ার তিথিতে চক্ষুদান পর্ব করা শুরু হয়। আর মহাসপ্তমীর সকালে শুদ্ধাচারে ডান হাতে কুশের অগ্রভাগ নিয়ে দেবী দুর্গাকে কাজল পরানো হয়। যদিও বর্তমানে বিভিন্ন বারোয়ারী পূজায় এই রীতি সর্বক্ষেত্রে মানা হয় না। কিন্তু পঞ্জিকা মতে পূজার ক্ষেত্রে এখনও বেশিরভাগ পুজোয় এই রীতি অনুসরণ করা হয়। প্রথমে ত্রিনয়ন, তারপর বাম চক্ষু ও শেষে ডান চক্ষু আঁকা হয়। এরপরে হয় প্রাণ প্রতিষ্ঠা। মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ীতে রূপে স্থিত হন দেবী।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ