ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহার রুখতে কড়া অবস্থান নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ডিপফেককে ‘গণতন্ত্রের নয়া বিপদ’ বলে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় তথ্য এবং প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ১০ দিনের মধ্যে খসড়া আইন তৈরি হতে চলেছে। প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রস্তাবিত আইনে কড়া শাস্তির বিধান থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার গুগল, ফেসবুকের পরিচালক সংস্থা মেটা-সহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় তথ্য এবং প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও মন্ত্রকের কর্তারা। বৈঠকের পর মন্ত্রী জানান, ডিপফেক প্রযুক্তিকে কী ভাবে বন্ধ করা যায় তা ঠিক করতে খসড়া বিধি তৈরি করা হচ্ছে। আগামী ১ ডিসেম্বর পরবর্তী বৈঠকে খসড়া বিধি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
কিছুদিন আগেই অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্ধানার ‘ডিপফেক’ ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। অন্য মহিলার শরীরের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে যোগ করা হয়েছিল অভিনেত্রীর মুখ। সমাজমাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। এরপর ডিপফেকের শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী কাজল। এক মহিলার পোষাক বদলের ভিডিও-র সঙ্গে তাঁর মুখ জুড়ে ভাইরাল করা হয়েছিল। ‘ডিপফেক’ নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।