চারিদিকে সাজো সাজো রব। ইতিমধ্যেই মণ্ডপে মণ্ডপে পুজোর জন্য তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে নবরাত্রির জন্য। আর এই নবরাত্রি উৎসবকে উপলক্ষ্য করেই ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরে মহামায়া মন্দির হয়ে উঠেছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। মন্দিরটি বহু প্রাচীন একটি মন্দির। প্রায় ১৪০০ বছরের পুরোনো। জানা যায় বিক্রম সংবত ১৫৫২ সালে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।কিংবদন্তিতে পূরানেও আছে মন্দির এই মন্দিরের উল্লেখ।
জানা যায় যেখানে মন্দিরটি আছে সেখানে রাজা বিক্রম সংবত স্বয়ং মা কালীর দর্শন পেয়েছিলেন। এখানে মহাকালী, মহাসরস্বতী ও মহালক্ষ্মীর পুজো করা হত। মন্দিরটি অনুমানিক ১২০০-১৩০০ সাল নাগাদ কালচুরি রাজা রত্নদেবের আমলে তৈরী হয়। তিনি ছিলেন কালচুরি বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক। তারপর এই মন্দির মহামায়া কালাচুরি রাজবংশের কুলদেবী নামেই প্রসিদ্ধ।
বর্তমানে প্রতি বছর দেবীর হাজার হাজার ভক্তরা
মন্দিরে ভিড় জমায়। ভক্তরা তাদের ইচ্ছে পূরণের জন্য দেবীর নিকট প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখেন। এ প্রসঙ্গে মনে করা হয় তাদের মনোবাসনা পূরণের জন্যই এই প্রদীপ জ্বালানোর বিষয়টি রয়েছে। এই মহামায়া মন্দিরে দুর্গা মূর্তির পাশাপাশি লক্ষী ও সরস্বতীর মূর্তিও রয়েছে।