নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বুধবারের পর বৃহস্পতিবার মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, এটা আমার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মতামত। এরপরই কটাক্ষের সুরে মিঠুন বলেন, ‘আমার রিকোয়েস্ট স্যার আর ম্যাডাম দু’জনকেই, যে নিজেরা এত কষ্ট পাবেন না। সত্যি কথা বলে দিন, কষ্ট কম হয়ে যাবে। অপরের কষ্ট আপনি কেন নিয়ে ঘুরছেন? হিন্দিতে একটা কথা আছে “হাম তো ডুবে হ্যায়, সবকো সাথ লে ডুবেঙ্গে।’এর আগে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেছিলেন, কারও সম্পর্কে ব্যক্তিগত কোনও মন্তব্য করব না। তবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ থাকলে তাঁকে বাঁচানোর ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতিরও নেই।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতারের ৬দিন পরে মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারিত পার্থ। পরিষদীয়, শিল্প-বাণিজ্য-তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রিত্ব-হারা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতারের পর ৩টি দফতর থেকেই সরিয়ে দেওয়া হল ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আর লাভ নেই, কাজে লাগবে না, আসল অপরাধী মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে ঝেড়ে ফেলুন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সেভাবে ব্যবস্থা নিক, তবেই একমাত্র রেহাই। অন্য কোনও রাস্তা নেই।”
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রশ্নের মুখে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সেই নিয়েই কার্যত উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভা । প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি সাংসদরা । কেন্দ্রীয় মহিলা এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রী দাবি করেন, ক্ষমা চাইতে হবে কংগ্রেস সভানেত্রীকে । তারপরেই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন স্মৃতি-সোনিয়া। তখনই স্মৃতিকে লক্ষ্য করে সোনিয়া বলেন, ‘ডোন্ট টক টু মি’৷ পরে লবিতে সোনিয়া গান্ধী জানান, অধীর চৌধুরী আগেই ক্ষমা চেয়েছেন। এই প্রসঙ্গে অধীর বলেছেন, “আমি কখনও ভাবতেও পারি না রাষ্ট্রপতিকে অপমান করব। এটা ভুলবশত হয়েছে, আর কিছু না। যদি রাষ্ট্রপতির খারাপ লেগে থাকে তাহলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চাইব।” এর পর বিজেপির আক্রমণ ইস্যুতে অধীরের পাল্টা, “চাইলে আমাকে এর জন্য ফাঁসিতে ঝোলান, আমি শাস্তি গ্রহণ করতে প্রস্তুত। কিন্তু কেন সনিয়া গান্ধিকে এর মধ্যে টানা হচ্ছে?”