সোমবার তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর এলাকা। সিপিআইএম-এর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পরেই জয়নগরের দলুইখাকি এলাকায় একের পর এক সিপিএম নেতা কর্মীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভাঙচুর চালানো হয় অনেক বাড়িতে। অভিযোগের আঙুল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। ঘটনার পর থেকে এলাকা পুরুষশূন্য! অনেক পরিবার ঘরছাড়া বলে অভিযোগ। সেই সমস্ত পরিবারকে ঘরে ফেরাতে আগামী ২২ নভেম্বরের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পুলিশকে শক্তি বুঝিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
সোমবার সকালে বামনগাছি পঞ্চায়েতের বাঙালবুড়ির মোড়ে নমাজ পড়তে যাওয়ার সময় খুন হন সইফুদ্দিন। পালাতে গিয়ে ২ জন দুষ্কৃতি ধরা পড়ে। একজনের গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়দের বক্তব্য। এরপরে দলুয়াখাকিতে বাম নেতা-কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রায় ১৫টি বাড়ি ও দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। উঠেছে দমকলকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া ও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ।
মঙ্গলবার সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী ও কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় সহ বাম প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এলাকায় যেতে গিয়ে পুলিশের বাধা পান। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। ঘরছাড়াদের নিয়ে জয়নগর থানায় যান সুজনেরা। আপাতত সেখানেই তাঁদের থাকার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সুজন চক্রবর্তী জানান, “দু-এক দিনের মধ্যে আবার আসব। খোঁজ নিয়ে যাব। এক সপ্তাহের মধ্যে যদি এঁদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা না করা হয়, তা হলে সব শক্তি নিয়ে এখানে আসব।’’