শীতের শুরুতেই নিম্নচাপ জনিত অকালবর্ষণ। যার জেরে প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন দক্ষিণবঙ্গের চাষিরা। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল বুধবার বিকেল থেকে। রাতভর বৃষ্টির পর বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টির প্রাবল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। শক্তি হারালেও এখনও নিম্নচাপ হিসাবে মধ্য ভারতে অবস্থান করছে ‘মিগজাউম’। মূলত তার জেরেই এই অকাল দুর্যোগ।
বর্ষা চলতি বছরে এসেছে দেরিতে। বর্ষার অপেক্ষায় থাকার পর অনেকটাই দেরিতে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বর্ষার চাষ হয়েছে৷ মাঠগুলিতে ধান সবে পাকতে শুরু করেছে৷ কোথাও ধান সদ্য কাটা হচ্ছে, কোথাও কাটা হবে। এই পরিস্থিতি ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ এর জেরে এই অকাল বর্ষণে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। অনেক জায়গায় শীতের সব্জি ও সরষে ক্ষেত নষ্ট হওয়ার মুখে৷ হুগলি জেলায় হচ্ছে আলু বসানোর কাজ। এমনিতেই আলুর বীজের দাম এই বছর অনেকটাই চড়া। তারই মধ্যে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চাষিরা৷ জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে ধান পাকা আগে থেকে হাতির আক্রমণে বারবার সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। এবার অকালবর্ষণ দোসর হয়েছে। শীতকালীন চাষেও বিরূপ প্রভাব পড়তে চলেছে বলেই আশঙ্কা চাষিদের।
শক্তি হারালেও নিম্নচাপ হিসাবে মধ্য ভারতে সক্রিয় ‘মিগজাউম’। অকালের বৃষ্টির কারণে গড়ে প্রায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পারদ পতন হয়েছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলবে বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। কলকাতা সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে ও বৃষ্টি চলবে৷ সব মিলিয়ে বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন দক্ষিণবঙ্গের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি।