চলতি বছরে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে গরু এবং কয়লা পাচারে, তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাদের নাম জড়িয়েছে। অনুব্রত মন্ডলরা জেলে রয়েছেন। তা নিয়ো শাসক গোষ্ঠীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বিস্তর।এবার সেই মঞ্চ থেকেই বিচারব্যবস্থার কাছে গণতন্ত্রকে রক্ষার আবেদন জানালেন মূখ্যমন্ত্রী।পাশাপাশি এদিন ফের তিনি মিডিয়া ট্রায়ালের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন। তবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের প্রশংসা শোনা যায় তার মুখে।
রবিবার বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জিউরিডিক্যাল সায়েন্সেসের ১৪তম সমাবর্তনে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য উদয় উমেশ ললিত, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব-সহ বহু বিশিষ্ট জন। ছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। সেই মঞ্চ থেকেই বিচারব্যবস্থার কাছে গণতন্ত্রকে রক্ষার আবেদন জানালেন। ফের মিডিয়া ট্রায়ালের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন তিনি।
এদিন বিচারপতিদের সামনেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যম বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তারা কাউকে অপরাধী বলে দাগিয়ে দিতে পারে না। আমার সম্মান নষ্ট করে দিতে পারে না এরা। মানুষের সম্মানই বড়। আমাদের সম্মান চলে গেলে সব চলে যায়।তাই বিচারব্যবস্থার কাছে অনুরোধ যারা নেতৃত্বে আছেন, যারা ভবিষ্যতে যাবেন এই জায়গায়, আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো রক্ষা করুন। অযথা মানুষকে হেনস্তা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন,’স্যর, সম্মানই আমাদের একমাত্র অবলম্বন। সেটা যাওয়া মানে, সব চলে যাওয়া। একবার সম্মানহানি হলে, তা আর ফেরত আসে না। তাই বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সকলকে বলব, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো যেন বজায় থাকে দেখবেন।অকারণে আজকাল মানুষকে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। এক শ্রেণির মানুষ সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে কুক্ষিগত করেছে। এমন চলতে থাকলে দেশে রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিস্থিতি তৈরি হবে। দয়া করে গণতন্ত্রকে রক্ষা করুন।’