‘চাকরি কি কারও পৈতৃক সম্পত্তি!’ এই ভাষাতেই কার্যত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কটাক্ষ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মেধাতালিকার ওয়েটিং লিস্টে ৩৩ নম্বরে তাঁর নাম থাকা সত্ত্বেও অনৈতিক ভাবে ওয়েটিং লিস্টের ৫৩ নম্বরে থাকা সরমা ঘোষ নামে এক প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ এনে হাইকোর্টে মামলা করেন প্রিয়ঙ্কা দত্ত সমাদ্দার নামে এক প্রার্থী। ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি সরমাকে সুপারিশপত্র দিয়েছিল এসএসসি। ২০ মার্চ তাঁকে নিয়োগপত্র দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অভিযোগ, চাকরি পাওয়া সরমা চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন এবং অবস্থান বিক্ষোভে নেতৃত্বের স্তরে ছিলেন। সেই সময়ে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সরমা সহ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে ডেকে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপরেই সরমা চাকরির সুপারিশ পত্র পান।
হাইকোর্টের নির্দেশে মামলা যুক্ত করা হয়েছিল চাকরি পাওয়া শিক্ষিকা সরমা ঘোষকেও। সরমা হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নেন। এরপরেই সোমবার উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেন, “চাকরি কি কারও পৈতৃক সম্পত্তি! আন্দোলন করলেই কি চাকরি পাওয়া যায়!” মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ১৫ ই মার্চ ধার্য করা হয়েছে।