কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে কড়া ভর্ৎসনার মুখে পড়লো রাজ্য নির্বাচন কমিশন। হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় ভোটগণনার দিন গণনাকেন্দ্রের বাইরে রাস্তায় ব্যালট পেপার পড়ে থাকা নিয়ে মহম্মদ শাহিন শেখ মামলা করেন। সেই মামলায় কমিশনকে কড়া বার্তা দেন বিচারপতি সিনহা। তিনি প্রশ্ন তোলেন, নির্বাচনে জেতা কি পাঁচ বছরের চাকরি!
মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিন জাঙ্গিপাড়ার ডিএন হাই স্কুলের পাশে ফাঁকা ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়। কিন্তু তাতে প্রিসাইডিং অফিসারের সই ছিল। মামলায় জাঙ্গিপাড়ার বিডিওকে তলব করেছিলেন বিচারপতি। তিনি এইদিন আদালতে উপস্থিত হয়ে এজলাসে জানান, তিনি প্রিসাইডিং অফিসারকে ব্যালট পেপারগুলি দিয়েছিলেন। তার পর আর সেগুলি তাঁর দায়িত্বে ছিল না। বিডিও-কে সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসারের তথ্য আদালতে জমা দিতে বলেন বিচারপতি।
এছাড়াও রাস্তায় উদ্ধার হওয়া ব্যালটগুলিতে প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর ছিল তা উল্লেখ করে বিচারপতি সিনহা প্রশ্ন তোলেন, সেইগুলির যে অপব্যবহার করা হয়নি তা কিভাবে নিশ্চিত করা হবে? অন্যদিকে হাইকোর্টে এই মামলা গৃহীত হওয়াই উচিত নয় বলে সওয়াল করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী। তখনই তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “কেন ভোটের পরেও রাজ্যে এত অশান্তি হচ্ছে?” পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে অশান্তির বিষয়ে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, নির্বাচনে জেতাকে কেউ কেউ পাঁচ বছরের চাকরি বলে মনে করছেন। এটাই তাঁদের টাকা উপার্জনের মাধ্যম।