কয়েকদিন পরেই পয়লা বৈশাখ। শুরু হবে ১৪৩০ বঙ্গাব্দ৷ বাঙালির এই নববর্ষ কিন্তু সারা দেশে পালিত হয় বিভিন্ন নামে ও বিভিন্ন ভাবে৷ প্রধানত কৃষি অর্থনীতি ভিত্তিক এই ক্যালেন্ডারের প্রথম দিনটি পালনে রয়েছে বৈচিত্র্য।
১লা বৈশাখ নববর্ষ – বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১ লা বৈশাখ ১৪৩০ দিনটি এই বছর ১৫ এপ্রিল। বাংলা এই নববর্ষ বাঙালি উদযাপন করে নতুন বছরের শুরু হিসাবে৷ হয় ব্যবসায়ের হালখাতা, ফুটবলের বার পুজো। নতুন জামা, মিষ্টির সাথে শুভেচ্ছা সহযোগে উৎসবে মাতে বাঙালি।
নবান্ন – এই সময়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নতুন ফসলের উৎসব নবান্ন হিসেবেও পালিত হয়। হয় নতুন ফসলের পুজো।
বোহাগ/ রঙ্গালী বিহু – বোহাগ বিহু আসাম, মণিপুর এবং বাংলার বিভিন্ন অংশে এই সময়ে উদযাপন করা হয়। অসমীয়ারা বছরে তিনবার বিহু উদযাপন করেন। বৈশাখী বিহুর দিন মাংস, চিড়া ও পিঠা জাতীয় খাবার তৈরি করা। চলে একে অপরকে উপহার দেওয়া। এই উৎসবের বিহু নাচ অসমের অন্যতম ঐতিহ্য।
বৈশাখী – ১৬৯৯ সালে দশম শিখ ধর্মগুরু, গুরু গোবিন্দ সিং শিখ ধর্ম অনুসরণ করার কথা বলেন। খালসা সম্প্রদায় গঠিত হয় বৈশাখের প্রথম দিন। পঞ্জাব ও হরিয়ানার উত্তর দিক এবং দিল্লির কিছু অংশে এইদিন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজন ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান সহ আনন্দের সঙ্গে বৈশাখী পালন করেন।
বিশু – কেরল ও কর্ণাটকের কিছু অংশে বছরের এই সময়ে বিশু উৎসব পালিত হয়। স্থানীয়ভাবে এটি বিশ্বুপদাক্কম নামেও পরিচিত। বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে ফসল, শস্য অর্পণ করা হয় এইদিন।