ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠলো খোদ আইনের রক্ষকের বিরুদ্ধেই। এক মহিলা কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ার তাঁর ছেলে ও মেয়েকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে খড়গপুর গ্রামীণ থানার অধীন সাদাতপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ সুকদেব মাইতির বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, মহিলার অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে নথিভুক্ত করতে চায়নি খড়গপুর গ্রামীণ থানা। যদিও মহিলা মেদিনীপুর জেলা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পর অভিযুক্ত ইনচার্জ সাব ইন্সপেক্টর সুকদেব মাইতিকে ক্লোজ করেছে জেলা পুলিশ।
জানা গিয়েছে, অভিযোগকারিনী মহিলা দীর্ঘদিন সাদাতপুর ফাঁড়িতে রান্নার কাজ করেছেন। তাঁর ফাঁড়ির নিকটস্থ একটি হোটেল রয়েছে। সেই সুবাদে তাঁর সঙ্গে ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীদের সুসম্পর্ক রয়েছে। থানার কালী পুজোতে তাঁর পরিবারের লোকেরাও অংশ নেন। কালী পুজোর রাতে সন্ধ্যে থেকেই ফাঁড়িতে ছিলেন মহিলার কিশোর ছেলে মেয়ে ও তাদের দুই বন্ধু। পরে রাত হয়ে যাওয়ার তারা হোটেলে এসে বিশ্রাম নিচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময়েই ফাঁড়ির ইনচার্জ শুকদেব বাবু কয়েকজন পুলিশ কর্মীর সঙ্গে আচমকাই হোটেলে আসেন ও বিনা প্ররোচনায় তাদের বেধড়ক লাঠিপেটা করেন।
এরপর গভীর রাতে মহিলার সন্তানেরা বাড়ি ফিরে মা কে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। মহিলার মেয়ে পরের দিন অসুস্থ হয়ে পড়ে ও রক্ত বমি হয়। তাকে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরেই পুলিশে অভিযোগ জানাতে যান ঐ মহিলা। তাঁর অভিযোগ, খড়গপুর গ্রামীণ থানা অভিযোগ গ্রহণ করতে চায়নি। শুক্রবার তিনি মেদিনীপুর জেলা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পর অভিযুক্ত ইনচার্জ সাব ইন্সপেক্টর সুকদেব মাইতিকে ক্লোজ করেছে জেলা পুলিশ। মহিলার অভিযোগ, দিন কয়েক আগে ইনচার্জ সুকদেব মাইতি তাঁর দোকানে চা খেতে এসে তাঁর হাত ধরে নিয়েছিলেন এবং তিনি কোনোক্রমে হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে আসেন। তাঁর বক্তব্য, ঐ পুলিশ আধিকারিকের কুপ্রস্তাবে তিনি সাড়া না দেওয়াতেই অন্যায় ভাবে তাঁর সন্তানদের মারধর করা হয়েছে।