সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যে মহিলাদের উপর নির্যাতনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। সামনে এসেছে বিভিন্ন যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ। দেগঙ্গা, মাটিয়া, ইংরেজবাজার, বাঁশদ্রোণী, বোলপুর, হাঁসখালি বিভিন্ন জায়গার ঘটনা নিয়ে রাজ্যে রাজনৈতিক শোরগোল শুরু হয়েছে। তারই মধ্যে হাসখালির ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। রাজ্যে মহিলাদের উপর ঘটে যাওয়া একাধিক নির্যাতনের ঘটনা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রতিবাদে বিজেপি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা মহিলা মোর্চার তরফে পথ হাঁটলো ধিক্কার মিছিল।
ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে শোরগোলের মধ্যে সোমবার বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনি রেপ বলবেন, না কি প্রেগনেন্ট বলবেন, না কি লভ অ্যাফেয়ার বলবেন…না কি শরীরটা খারাপ ছিল, না কি কেউ ধরে মেরেছে… আমি পুলিশকে বলেছি, ঘটনাটা কী? ঘটনাটা খারাপ। গ্রেফতার হয়েছে। মেয়েটার নাকি লভ অ্যাফেয়ার ছিল শুনেছি।” এমনকি তিনি প্রশ্ন তোলেন, ঘটনার পাঁচ দিন পর কেন পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করল নির্যাতিতার পরিবার। যদিও তিনি আরও বলেন, “অন্যায় করলে শাস্তি হবে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। এবং সেটা কোনও রাজনৈতিক রং না দেখেই।” কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয় বিভিন্ন মহলে। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার আর্জি পেশ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তারই মধ্যে বৃহস্পতিবার পথে নামলো বিজেপির মহিলা মোর্চার পশ্চিম মেদিনীপুর শাখা।
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে ধিক্কার মিছিল করে ভারতীয় জনতা পার্টির মহিলা মোর্চা। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা এদিন বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখান। বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ধস্তাধস্তিও হয়।