হাতির দলের তান্ডবে ভীত ঝাড়গ্রাম। বিগত কিছুদিন ধরেই ঝাড়গ্রাম ব্লকের পুকুরিয়া, পাচামি, ছোট চাঁদাবিলা এলাকা জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টি হাতির দল। জামবনি ব্লকের কুমরী, শুশনি, কেন্দুয়া বাহিরগ্রাম প্রভৃতি গ্রাম গুলিতে রাত হলেই তান্ডব চালাচ্ছে হাতির দল। এলাকায় মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে আতংক।
শনিবার জামবনীর সাবলমারা এলাকায় যাত্রী বোঝাই একটি বাসকে রাস্তার উপরে আটকে দেয় একটি দলছুট দাঁতাল। আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েন বাসের যাত্রীরা। দরজা জানালা বন্ধ করে প্রাণ হাতে করে বাসে বসে থাকেন তাঁরা। হাতিটি বাসের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করে খাবারের সন্ধান চালাতে থাকে। পরে পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দারা খবর পেয়ে এসে হাতিটিকে জঙ্গলের দিকে তাড়িয়ে দিতে সমর্থ হয়।
অন্যদিকে শনিবারেই দলছুট এক দাঁতাল হাতির আক্রমণে একজন রাখালের মৃত্যু হয়েছে। জামবনি থানার ভালুকা বিট জামবনি রেঞ্জের কুলডিহা পড়াডিহা সীমানা জঙ্গলে ছাগল চড়াতে গিয়েছিল পরমেশ্বর মাহাতো। সেই সময়েই দাঁতলের আক্রমণে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করে ঝাড়গ্রামের মানুষজনের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে বন দফতরের বিরুদ্ধে। হাতির দল শুধু ঘরবাড়ি নষ্ট করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না, সেই সঙ্গে নষ্ট করছে ক্ষেতের ফসল- ফলের বাগান। সন্ধ্যার পরেই শুনশান হয়ে যাচ্ছে এলাকা। বন দফতরের তরফে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত জঙ্গলের রাস্তায় যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও গ্রামবাসীদের তরফে বন দফতরের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বন দফতর ইতিমধ্যেই এলাকা বাসীকে সতর্ক থাকার জন্য আবেদন করেছে। তৎপর রয়েছেন আধিকারিক ও কর্মীরা।