চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
ঝাড়গ্রাম জেলার পুকুরিয়া গ্রামে ৫ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রামেরই বাসিন্দা রাজু মাহাতোকে দোষী সাব্যস্ত করলো মেদিনীপুর পকসো আদালত৷ তাকে ২০ বছরে সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫০০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস অতিরিক্ত কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
ঘটনাটি ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের। ঘটনার রাতে পুকুরিয়ার বাসিন্দা ৫ বছরের ঐ নাবালিকা ঠাকুমার সঙ্গে বাড়ির বারান্দায় ঘুমিয়েছিল। সেই সময়ে পুকুরিয়া গ্রামের ডেকোরেটার্সের ব্যবসায়ী রাজু মাহাতো নাবালিকাকে অপহরণ করে। ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ, গ্রামের বাসিন্দারা ও নাবালিকা মেয়েটির বাড়ির লোকজন ঐ রাতেই স্থানীয় জঙ্গলের পাশ থেকে অর্ধনগ্ন, অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘদিন চিকিৎসায় প্রাণ বাঁচে নির্যাতিতার।
নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত রাজু মাহাতোকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে। বিচার শুরু হয় মেদিনীপুরের পকসো আদালতে। নির্যাতিতা সহ ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও সওয়াল পর্বের শেষে বৃহস্পতিবার রায় দান করেছে আদালত। পকসো আদালতের বিশেষ সরকারি আইনজীবী গৌতম মল্লিক জানিয়েছেন, এই মামলায় আদালত আসামী রাজু মাহাতোকে পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায় ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৫০০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে।