সংবিধান পড়তে শুরু করেছিলেন আগ্রহ থেকে। জানতে চেয়েছিলেন পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের চালিকাশক্তিকে। বুঝতে চেয়েছিলেন আদিবাসী মানুষদের জন্য সংবিধান প্রদত্ত অধিকার সম্পর্কে। কিন্তু এরপরেই অনুভব করেন সাঁওতালি ভাষায় অলচিকি লিপিতে সংবিধান অনুবাদের প্রয়োজনীয়তা। সেই উদ্যোগ থেকেই সংবিধান অলচিকিতে অনুবাদ করলেন পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাঁওতালি বিভাগের শিক্ষক শ্রীপতি টুডু। তাঁর অবদানের জন্য প্রশংসা বার্তা এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে।
পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির ধসকা স্কুল ও ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু সরকারি কলেজে শিক্ষকতার পর এখন পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক শ্রীপতি টুডু। বাঁকুড়ার খাতড়ার মুড়াগ্রামের বাসিন্দা আদতে কৃষক পরিবারের সন্তান তিনি। বাঁকুড়ার ঝিলিমিলি হাইস্কুল থেকে সাঁওতালি মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরে, পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু স্মৃতি মহাবিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন তিনি।
আদিবাসীদের অধিকার সম্পর্কে ও তাঁদের সংবিধান সম্পর্কে সচেতন করতে এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন শ্রীপতিবাবু। কেবলমাত্র মূল বিষয়গুলিকে নির্দিষ্ট করায় তাঁর অনুবাদটি মূল সংবিধানের চেয়ে কিছুটা সংক্ষিপ্ত বলেও জানিয়েছেন তিনি। দিল্লির একটি প্রকাশনা সংস্থা অলচিকি হরফে তাঁর অনুবাদটি প্রকাশ করেছে। সাঁওতালি সমাজের জন্য সংবিধানের এই অনুবাদের বিষয়টি উল্লেখ করে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শ্রীপতি টুডুর ভাবনা ও প্রচেষ্টার প্রশংসাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।