মুখ্যমন্ত্রীর তরফে মিলেছিল চাকরির প্রতিশ্রুতি। তারপর দীর্ঘ চার বছর বিভিন্ন দফতরে ঘোরার পরে অবশেষে মেলে অস্থায়ী চাকরি। তা স্থায়ী হওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। এখন বেতনও অনিয়মিত। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ঝাড়গ্রামের বিশেষভাবে সক্ষম যুবক জগন্নাথ মাহাতো।
২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল উৎসবে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জগন্নাথকে দিয়েছিলেন চাকরির প্রতিশ্রুতি। তারপরে দীর্ঘদিন কাটলেও মেলেনি চাকরি। প্রায় বছর খানেক পর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান জগন্নাথ। ২০১৫ সালে পান অরণ্য সম্মান। সেখানেও তাঁকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। অবশেষে সেই বছরের জুন মাসে ঝাড়গ্রাম মহকুমা শাসকের দফতরে অস্থায়ী কর্মী রূপে যোগ দেন জগন্নাথ। তিন মাসের মধ্যে চাকরি স্থায়ী হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
কিন্তু প্রকৃত সমস্যার সূত্রপাত এর পরে। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে জগন্নাথ মাহাতোর বেতন বন্ধ হয়ে যায়। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে অর্ধেক বেতন পাচ্ছেন তিনি। তাঁর বাড়িতে বৃদ্ধ পিতা মাতা, স্ত্রী সন্তান রয়েছেন। স্ত্রী মানসিক ভাবে অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসা, সন্তানের ও পরিবারের ভরণপোষণ সব মিলিয়ে আর্থিক অনটনের কারণে প্ৰচন্ড সমস্যার সম্মুখীন তিনি। উপায়ন্তর না দেখে এবার চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতন নিয়মিত করার দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন জগন্নাথ।