প্রত্যহ বাতিল হচ্ছে মেদিনীপুর-আদ্রা মেমু লোকাল। যার জেরে ভোগান্তিতে পড়ছেন জঙ্গলমহলের যাত্রীরা। এই নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম।
করোনাকালে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ট্রেন। তারপরে ধীরে ধীরে ট্রেন চালু হলেও বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন এক্সপ্রেসে পরিণত হয়েছে। একাধিক লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অনেক ট্রেন অনেক স্টপেজেই দাঁড়ায় না। যেমন চক্রধরপুর এক্সপ্রেস দাঁড়ায় না গড়বেতা স্টেশনে। অন্যদিকে আবার একদা হাওড়া-আদ্রা শিরোমণি ফাস্ট প্যাসেঞ্জার এখন নাম বদলে হাওড়া-আদ্রা শিরোমণি এক্সপ্রেস। কিন্তু বদল হয়নি গতিপথের স্টপেজে বা সময়ে। তথাকথিত ‘এক্সপ্রেস’ এখনও ‘ফাস্ট প্যাসেঞ্জার’ থাকাকালীন দেওয়া স্টপেজগুলিতেই থামছে। যদিও বড়সড় বদল এক্সপ্রেস ফেয়ার অনুযায়ী ট্রেনের ভাড়ায় কয়েকগুণ বৃদ্ধিতে। সঙ্গে একটি এসি কোচের সংযোজন। এই অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির পরিবর্তে লোকাল ট্রেনের উপরেই নির্ভর করতে হয় জঙ্গলমহলবাসীদের। কিন্তু সেখানেও গন্ডগোল।
লোকাল ট্রেনগুলি নিয়ে অভিযোগ, সেগুলি সময়ে ছাড়ে না বা নির্দিষ্ট স্টেশনে সময়ে পৌঁছায় না। তারই মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মেদিনীপুর-আদ্রা মেমু লোকাল প্রায় দিন বাতিল। আর এখন, চলতি আগস্ট মাসের ১৮ তারিখ থেকে তা টানা বন্ধ। এই মাসে এখনও পর্যন্ত ট্রেনটি চলেছে সাকুল্যে ১১ দিন চলেছে। ফলে জঙ্গলমহলের জেলাগুলির রেল যাত্রীরা পড়েছেন আতান্তরে। সমস্যায় পড়ছেন দিন আনা দিন খাওয়া নিত্যযাত্রীরা। ফলে অসন্তোষ বাড়ছে যাত্রী সাধারণের মধ্যে।