ঝাড়গ্রামের খুনি হাতিদের নিয়ন্ত্রণে আনতে দিনভর যৌথ অভিযান পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম বন দফতরের। অবশেষে সন্ধ্যায় কাবু একটি। ট্রাঙ্কুলাইজ করে শুরু অন্যত্র সরানোর প্রক্রিয়া।
সাম্প্রতিক সময়ে ঝাড়গ্রামে ঘটেছে একের পর এক হাতির আক্রমণের ঘটনা। চলতি বছরে জেলায় মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জুড়ে একেরভপর এক জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে ঘটেছে আক্রমণের ঘটনা। হাতির আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন দফতরের প্রতি জনমানসে ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয়েছে। এবার ঝাড়গ্রামে দাপিয়ে বেড়ানো ১০০টিরও বেশি হাতির মধ্যে ৪টি খুনি হাতিকে চিহ্নিত করে ট্রাঙ্কুলাইজ করতে উদ্যোগ নিল বন দফতর।
দিন দুয়েক আগেই উত্তরবঙ্গ থেকে প্রশিক্ষিত কুনকি হাতি আনা হয় ঝাড়গ্রামে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঝাড়গ্রামের জোয়ালডাঙা জঙ্গলে শুরু হয় অভিযান। পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম বন দফতরের আধিকারিক ও বন কর্মীরা কুনকি হাতি থেকে গুলি ছুড়ে নির্দিষ্ট ৪টি খুনি হাতিকে কাবু করার চেষ্টা করেন। প্রাথমিক ভাবে সাফল্য না মিললেও বিকেল নাগাদ বন দফতর বোঝে একটি হাতি কাবু হয়েছে। সেটিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে শুসনিগেড়িয়া অঞ্চলে প্রক্রিয়া শুরু হয়। অন্যান্য হাতিরা যাতে বন কর্মীদের উপর হামলা চালাতে না পারে তাই পাহারায় থাকে কুনকি হাতিরা। একটি হাতিকে ট্রাঙ্কুলাইজ করা সম্ভব হলেও বন দফতর সূত্রের খবর এখনও বাকি তিনটি। সূত্রের আরও খবর, আগামী কয়েক দিন এই অভিযান চলবে।