Gopiballavpur : হার মেনেছে প্রতিবন্ধকতা, বিকাশের হাতে প্রাণ পাচ্ছেন দেবদেবীরা

Gopiballavpur : হার মেনেছে প্রতিবন্ধকতা, বিকাশের হাতে প্রাণ পাচ্ছেন দেবদেবীরা

দৈহিক ভাবে বা মানসিক ভাবে সীমাবদ্ধ মানুষকে আমরা প্রতিবন্ধী হিসেবে দেখি। অনেকে মনে করেন প্রতিবন্ধী মানে কর্মক্ষমতাহীন। তবে এই কর্মক্ষমতাহীন শব্দটির ধারণা পাল্টে দিয়েছেন গোপীবল্লভপুরের ধরমপুর গ্রামের বিকাশ বিশাল। বিকাশ বিশাল জন্ম থেকেই শুনতে পান না এবং কথাও বলতে পারেন না। বর্তমানে তিনি একজন বিখ্যাত মৃৎ শিল্পী। বিকাশ বিশালের বয়স ৪৮ বছর। প্রতি বছর দুর্গাপূজাতে তাঁর হাতের তৈরী প্রতিমা পাশাপাশি এলাকার একাধিক মণ্ডপে দেখতে পাওয়া যায়। সারা বছর তিনি এই মৃৎ শিল্প নিয়ে মেতে থাকেন। কখনো কালী, লক্ষী, সরস্বতী বা কখনো গণেশ মূর্তি গড়ে তোলেন আপন প্রতিভায়।

আরও পড়ুন:  Weather Update : বাংলাদেশ যাচ্ছে নিম্নচাপ, পুজোর আগে কিঞ্চিৎ স্বস্তি

এই বছরের গণেশ পূজার জন্য তিনি ৮ টি গণেশ মূর্তির যোগান দিয়েছিলেন। সামনের দুর্গা পূজাতেও ৪ মণ্ডপে দেখা যাবে বিকাশ বিশালের হাতের তৈরী দুর্গা মূর্তি। এছাড়াও প্রতিবছর সরস্বতী পুজোতেও ৪০ টিরও বেশি মূর্তি তৈরী করেন। আগামী লক্ষী পূজাতেও বহু মূর্তি তৈরী করবেন। তাঁর হাতের তৈরী মূর্তি ঝাড়গ্রাম শহর সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হয়।

আরও পড়ুন:  Weather Update : বাংলাদেশ যাচ্ছে নিম্নচাপ, পুজোর আগে কিঞ্চিৎ স্বস্তি

বিকাশ বিশালের শিল্পী জীবনে আসার ক্ষেত্রেও কাহিনীটি বেশ সুন্দর। ছোটবেলাতে খেলতে খেলাতেই পুতুল তৈরী করতেন। তারপর একদিন মামার বাড়িতে তৈরী করে ফেলেন কালী মূর্তি। সেই বছর তাঁর তৈরী করা কালী মূর্তিতেই পুজো হয়। তারপর একের পর মূর্তি বানাতে থাকেন। বিকাশ বিশালের বাবাও বুঝে ফেলেন ছেলে মুখ ও বধির হলেও তার মধ্যে রয়েছে বিশেষ শিল্পী প্রতিভা। এরপর জীবনের সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে একের পর এক সুন্দর সুন্দর মূর্তি উপহার দিয়েছেন সমাজকে।

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ