আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে অর্থনৈতিক বাজেট পরশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর বাজেটের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যবৃদ্ধি। অন্য দিকে বাজেটের পরেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ-পঞ্জাব সহ দেশের পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বাজেটে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে দিশা দেখানোই যে মোদি সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ তা স্পষ্ট করেছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। সেই সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবিও উঠেছে।
বিগত দুই বছর বিশ্ব জুড়ে করোনা পরিস্থিতি থাবা বসিয়েছে অর্থনীতিতে। ব্যতিক্রম নয় ভারতও। বারংবার লকডাউন অর্থনীতিকে আরও বিধ্বস্ত করেছে। অন্যদিকে বাজার থেকে মুদিখানা, স্টেশনারি থেকে ভোজ্য তেল সব কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসই দাম বেড়েছে উত্তরোত্তর। এর কারণ হিসেবে অনেক ক্ষেত্রেই উঠে এসেছে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি।
গত বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। চাপের মুখে বিগত নভেম্বর মাসে পেট্রলে লিটারে ৫ টাকা ও ডিজ়েলে ১০ টাকা করে শুল্ক কমিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ইঙ্গিত মূল্যায়ন সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী মূল্যবৃদ্ধির অনুপাতে তা নগন্য। অন্যদিকে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম ব্যারেল পিছু ৯০ ডলার অতিক্রম করে গিয়েছে। ফলে অর্থনীতিবিদদের অনুমান, পাঁচ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোট সমাপ্ত হলেই মার্চ থেকে ফের বৃদ্ধি পাবে তেলের দাম। যা মূল্যবৃদ্ধিতে সরাসরি প্রভাব ফেলবে।
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজকোষ ঘাটতিতে রাশ টানতে চাইছে। একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে সরকারি সংস্থা বেসরকারিকরনের উদ্যোগ সেই দিকেই ইঙ্গিত করেছে। কিন্তু বাজার বিশেষজ্ঞদের দাবি, পেট্রল-ডিজ়েলে উৎপাদন শুল্ক কমাক কেন্দ্র। যা কমাবে পরিবহন মূল্য। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই রাশটানা যাবে মূল্যবৃদ্ধিতে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে এলেই সামগ্রিক ভাবে চাহিদা বৃদ্ধি। যা দীর্ঘমেয়াদি ভাবে বাজার-অর্থনীতিকে গতি দেবে।