করোনা কালে বারবার হয়েছে লকডাউন। যার সুদীর্ঘ প্রভাব পড়েছে দেশের কাজের বাজারে। করোনা আসার পরই অনেক অসংগঠিত ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে শুরু হয়েছিল চাকরি যাওয়া। এখন লকডাউন সংস্কৃতির সুদূর প্রসারী ফলে ছোট থেকে বড় বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় শুরু হয়েছে নিয়ন্ত্রিত কর্মী ছাঁটাই। ফলে তার সরাসরি প্রভাব পড়ছে শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের উপর। কাজের বাজারের এই টালমাটাল অবস্থায় আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পেশ হবে কেন্দ্রীয় বাজেট। লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থানের বিষয়ে এই কেন্দ্রীয় বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই অভিমত কর্পোরেট জগতের।
বিগত বাজেটগুলিতে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। আত্মনির্ভর ভারত সেই প্রকল্পে অগ্রণী। লক্ষ্য ছিল দেশীয় অর্থনীতির সক্ষমতা বাড়ানো। কর্পোরেট জগতের অভিমত, এই মুহূর্তে ঘোষিত প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ সরকারের। দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রগুলি সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান করে থাকে। সেই কারণে তাদের জন্য বিশেষ কোন আর্থিক প্যাকেজ কর্মসংস্থানে ধনাত্মক অনুঘটকের কাজ করতে পারে। আখেরে তা আমজনতার ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বাজারকেই লাভ দেবে।
- Advertisement -
করোনা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে অনলাইন নির্ভরশীলতা গুরুত্বপূর্ণ ভাবে বেড়েছে। নতুন কর্মসংস্থান তৈরির জন্য এই ক্ষেত্রটি বিশেষ প্রভাবশালী হতে পারে বলে অভিমত কর্পোরেট বিশেষজ্ঞদের। অনলাইন মাধ্যমেই শিক্ষিতদের দক্ষতা উন্নয়নের কর্মসূচি ফলপ্রসূ হতে পারে এই বিষয়ে। এছাড়া রিয়েল এস্টেট ও অটো সেক্টরেও আরও আর্থিক বিনিয়োগ ও উন্নয়ন প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে তা বিপুল কর্মসংস্থানের ইঙ্গিত।
- Advertisement -
বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি-র তথ্য অনুযায়ী, অতিমারী পরিস্থিতিতে শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার ৮.২১ শতাংশ হয়েছে। গ্রামে কর্মসংস্থানের জন্য তৈরি হয়েছিল ‘১০০ দিনের কাজ’ প্রকল্প। এবার শ্রম মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত সংসদীয় কমিটি ছাড়াও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সংগঠনের মতো শ্রমিক সংগঠনও শহরাঞ্চলের জন্য এমনই প্রকল্পের সুপারিশ ও দাবি জানিয়েছে। তাঁদের অভিমত, অসংগঠিত ক্ষেত্রে বেকারত্ব শহরাঞ্চলের পরিস্থিতিকে বেশি জটিল করেছে। এক্ষেত্রে এই ধরনের প্রকল্প এলে তার মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি করা যাবে।
48g30k