আর্থিক তছরুপ মামলায় দু’বার সমন পেয়েও যাননি তিনি৷ তাই রবিবার সকালে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের বাড়ি পৌঁছন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা৷ আজ প্রায় ৯ ঘণ্টা পরে শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতকে আটক করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷ তারপর তাঁকে ইডির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বের করা হয়। সেইসময় তাঁকে অনুগামীদের উদ্দেশে হাত নাড়তে দেখা যায়। হাত নাড়তে-নাড়তেই গাড়ির উপর উঠে পড়েন। দু’হাত তুলে হাত নাড়তে থাকেন। গলায় থাকা গেরুয়া উত্তরীয় খুলেও নাড়তে থাকেন শিবসেনা সাংসদ।
এদিন কড়া নিরাপত্তায় এসএসসি দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে জোকা ইএসআই হাসপাতালে পৌঁছোয় ইডি। রবিবার ফের একবার এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন পার্থ। জোকা ইএসআই হাসপাতালে ঢোকার সময় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমার কোনও টাকা নেই। পার্থ আরও বলেন, “সময় এলেই বুঝবেন, কে ষড়যন্ত্র করেছে।” হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় পার্থর দাবি, “আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়। কোনওদিন টাকা লেনদেন আমি করি না।” তবে রবিবার প্রাক্তন মন্ত্রী ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা কোনও কথা বলেননি।
কয়েকদিন আগেই মিঠুন চক্রবর্তী দাবি করেছিলেন তৃণমূলে বেশ কয়েকজন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এবার সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যেও কী সেই ইঙ্গিত? বিজেপির রাজ্য সভাপতি আজ, রবিবার সুর চড়িয়ে বলেন, ‘বিজেপি ভাঙবে না, তবে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থা ভালো নয়। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আমাদের দলে যাঁরা আসবেন আমরা বেছে বেছে আলু নেব। পচা আলু নেব না।’ বিজেপি রাজ্য সভাপতির এমন মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়েছে বাংলার রাজনীতির আঙিনায়। প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙছে?