পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের স্পর্শকাতর ৭ জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আইন মোতাবেক সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যবহার করতে হবে বলে কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। মনোনয়নের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনই নেবে। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকালে একাধিক রায়দান করেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার শুনানির পর সেই মামলার রায়দান স্থগিত ছিল। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোট দিয়ে একাধিক রায় দিয়েছে আদালত।
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, বীরভূম, জলপাইগুড়ি – এই ৭ জেলা সহ অন্যান্য জেলার স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুথ সংখ্যার তুলনায় পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী না থাকায় অন্য রাজ্য থেকে পুলিশ বাহিনী আনার বদলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ কেন্দ্র দেবে। আইন মোতাবেক সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যবহার করতে হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনই ভোটের পর্যবেক্ষক নিয়োগ করবে, আলাদা পর্যবেক্ষকের প্রয়োজন নেই। স্পর্শ কাতর বুথে ও রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারি চলবে। মনোনয়নের সময়সীমা বৃদ্ধি প্রয়োজন কিনা তা দেখা ও নির্বিঘ্নে ভোট পরিচালনা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। ভোটের কাজে কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে।