বিধানসভা নির্বাচনে ঘাসফুল শিবিরের জয় লাভ করার পরপরই ছন্দপতন দেখা যায় গেরুয়া শিবিরে। বিগত কয়েক দিন ধরেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছড়ার হুজুগ দেখা দিয়েছে পদ্মে। শান্তনু ঠাকুর, হিরণ চ্যাটার্জীর পর এবার গ্রুপ ছাড়ার তালিকায় নতুন নাম যোগ হলো বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি শঙ্কুদেব পান্ডার।
রবিবার আগাম কোন বার্তা ছাড়াই বিজেপির যুব মোর্চার গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান তিনি। তবে ঠিক কি কারণে এবং কার উপর ক্ষোভের জেরে এই সিদ্ধান্ত এখনো প্রকাশ্যে আনেননি শঙ্কুদেব পান্ডা।
- Advertisement -
গ্রুপ ত্যাগ করার প্রসঙ্গে বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খান জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে আপাতত বিজেপি কর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যস্ত, কোথা থেকে কে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করছে সেই দিকে তাকানোর সময় নেই। তবে গ্রুপ ছাড়ার বিষয়টি টেকনিক্যাল ইস্যু হতে পারে এখানে বিদ্রোহের কথা আপাতত শোনা যায়নি’।
- Advertisement -
প্রসঙ্গত, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র হাত ধরেই ঘাসফুল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে অভিষেক হয়েছিল শঙ্কুদেব পান্ডার। বিজেপির তরফে কলকাতা জনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই ভোলবদল হতে দেখা যায় বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই। পদ্ম শিবিরের থেকে দূরত্ব তৈরি করেছিলেন তিনি। হয়তো রবিবার রাজ্য বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করার সঙ্গেই সম্পূর্ণরূপে সম্পর্ক ত্যাগ করলেন এমনটাই অনুমান করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বিগত কয়েকদিন ধরেই বিজেপি শিবিরের একাধিক সদস্যদের উপর একাধিক অভিযোগ এনে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ছে বহু দলীয় নেতারা। গত কয়েকদিন আগেই শান্তনু ঠাকুর মতুয়াদের প্রসঙ্গকে কেন্দ্র করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন। পাশাপাশি সেই পথ অনুসরণ করে দিলীপ ঘোষের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রুপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরণ চ্যাটার্জী।
এবার সেই পথেই দেখা যাচ্ছে শঙ্কুদেব পান্ডাকেও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করার কোনো রকম স্বচ্ছ কারণ জানাননি বিজেপি যুব মোর্চার সহ-সভাপতি।