নিজেদের অধিকার আদায়ে আবারও পথে নামছে কুড়মীরা। এর আগেও কুড়মীদের লাগাতার আন্দোলনে বারে বারে জনজীবন স্তব্ধ হয়েছে। অতীতে দিনের পর দিন আন্দোলনের নামে চলছে ট্রেন ও গাড়ির চাকা জ্যাম। ঝাড়গ্রামের খেমাশোলিতে জাতীয় সড়ক ও রেল অবরোধে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বহু অসুস্থ রোগী থেকে শুরু করে পরিযায়ী শ্রমিক।
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর আবারও ঝাড়গ্রামের খেমাশোলিতেই রেল অবরোধের ডাক দিয়েছে কুড়মীরা। ঐ দিন অজিত মাহাতোর নেতৃত্বাধীন আদিবাসী কুড়মী সমাজের বাঁকে ঝাড়গ্রামেরর খেমাশোলিতে রেল অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
তবে আন্দোলনের নামে এই রেল অবরোধে দ্বিধাবিভক্ত কুড়মীরা। “কুড়মী সমাজ” সংগঠনের নেতা রাজেশ মাহাত এই আন্দোলন থেকে পিছিয়ে এসেছেন বলে জানান।
সামনেই পূজো, জঙ্গলমহলের পর্যটনের প্রাণকেন্দ্র ঝাড়গ্রামে ইতিমধ্যেই একের পর এক হোটেল লজ বুকিং হয়ে গেছে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন রাজ্যে ফিরবেন এই সময়েই, ঠিক তখনই কুড়মীদের এই রেল অবরোধ আবারও সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলতে চলছে, আখেরে ক্ষতি হতে চলেছে জঙ্গলমহলের।