বিপর্যস্ত সিকিম! যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকার্য। এই পরিস্থিতিতে সিকিমের সর্বাত্মক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সিকিমে বন্ধ থাকছে পর্যটন, সিকিম প্রশাসনের তরফে আপাতত জারি হয়েছে তেমনই নির্দেশিকা।
মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে অতিরিক্ত জলে লোনক হ্রদ উপচে পড়ে ভেঙে যায় চুংথাম বাঁধ। তিস্তার জলস্তর প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট বেড়ে গিয়ে দুকুল ছাপিয়ে ধস নামে সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকায়। তিস্তায় হড়পা বান ও ধসের জেরে বিধ্বস্ত সিকিম! এখনও পর্যন্ত হড়পা বানে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ নিখোঁজ শতাধিক। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে লাচুং, লাচেনে আটকে বহু পর্যটক। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনা। উদ্ধার করে ৮-৯ ঘন্টার ঘুর পথে পর্যটকদের শিলিগুড়ি পাঠানো হচ্ছে। গ্যাংটকের সঙ্গে যুক্ত জাতীয় সড়ক এখনও বিচ্ছিন্ন।
পুজোর সময় প্রতি বছরেই পর্যটকদের ঢল নামে সিকিম জুড়ে৷ পর্যটকদের বড় অংশই বাঙালি। বিপর্যয়ের কারণে সিকিমের পর্যটন নিয়ে পুজোর মুখে তৈরি হচ্ছিল ধোঁয়াশা৷ এই পরিস্থিতিতে সিকিম প্রশাসনের টুরিজম অ্যান্ড সিভিল অ্যাভিয়েশন ডিপার্টমেন্টের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, যতদিন পর্যন্ত সিকিমের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হচ্ছে, ততদিন পর্যটকদের যাবতীয় পরিকল্পনা স্থগিত। সেই সঙ্গে সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকদের যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে সিকিম প্রশাসনের তরফে।