শুক্রবার বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশ করলেন রাজ্যের অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। দুপুর দুটো থেকে বাজেট পেশ শুরু করেন তিনি। বাজেট পেশকে কেন্দ্র করে আজ ফের শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে রাজ্য বাজেটে। বাজেট বক্তৃতার মাঝেই বিজেপি বিধায়কেরা ওয়াকআউট করেন।
বাজেটে আগামী চার বছরে ১ কোটি ২০ লক্ষ কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন স্বাধীন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কৃষিক্ষেত্রে ৯ হাজার ৩১০.২০ কোটি টাকা এবং কৃষি বিপণনে ৪০৩.৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রাণী সম্পদ উন্নয়নে বরাদ্দ হয়েছে ১ হাজার ২৬৬ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা। নারী এবং শিশু কল্যান প্রকল্পে ১৯ হাজার ২৩৮ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ। পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ২ হাজার ১৭৮ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা ও উপজাতির উন্নয়নের জন্য ১ হাজার ৮৯ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ। ফ্ল্যাট বাড়ি কেনা বেচায় কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়ের মেয়াদবৃদ্ধি করা হয়েছে। সিএনজি চালিত গাড়িতে রেজিস্ট্রেশন ফি মকুব ও ২ বছরের জন্য রোড ট্যাক্স মকুব।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১ কোটি টাকা সাহায্য করা হবে রাজ্য বাজেট থেকে। পুরএলাকা উন্নয়নে ১২ হাজার ৮১৮ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ। স্কুল শিক্ষা ক্ষেত্রে ৩৫ হাজার ১২৬ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা, প্রযুক্তি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ১ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা, শিক্ষা সম্প্রসার এবং গ্রন্থাহার উন্নয়নে ৩৮৭ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা, সংখ্যালঘু এবং মাদ্রাসা শিক্ষায় ৫ হাজার ৪ কোটি ৫ লক্ষ টাকা, উচ্চ শিক্ষায় ৫ হাজার ৮১১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যানে ১৭ হাজার ৫৭৬ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ। এছাড়া পর্যটনের উন্নয়নে ৪৬৭ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা, পরিবহনে ১ হাজার ৭৮৮ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ। সুন্দরবনের উন্নয়নে ৭২০ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নে ৭৯৭ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
অন্যদিকে অতিমারী পরিস্থিতির মধ্যেও রাজ্যের রাজস্ব আদায় ৩.৭৬ গুন বেড়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য বাজেটকে ‘জয় বাংলা’ বাজেট হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।