অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরির জন্য যে ঘর দান করা হয়েছিল, সেখানেই তৈরি করা হয়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিস। উত্তর ২৪ পরগণার দত্তপুকুরের ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিলেন স্থানীয় কিছু মহিলা।এদিকে ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে তৃনমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব।
স্থানীয় সূত্রের জানা গেছে , দত্তপুকুর ১ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ২২২ নম্বর পার্টে কোনও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নেই। স্থানীয় ননীগোপাল চৌধুরী মৃত্যুর আগে জমি দান করেছিলেন স্কুল বা পার্ক তৈরির জন্য।পরে সেই জমিতে ভবন তৈরি করে পঞ্চায়েত। আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র হবে। গত কয়েকদিন ধরে রং করা হয় ভবনটিতে। দেওয়ালের লেখা দেখে স্থানীয় মানুষ জানতে পারেন, দানের জমিতে তৈরি হচ্ছে তৃণমূলের কার্যালয়।
এতে ক্ষুব্ধ হন এলাকাবাসী। রবিবার সকালে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে কার্যালয় উদ্বোধন করার আগেই বিক্ষোভ দেখিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন স্থানীয় কিছু মহিলা। দত্তপুকুর ১ পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূলের কিছু মহিলা কর্মীও সামিল হন বিক্ষোভে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তৃণমূল নেতা তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অন্তরা যাদব, তার স্বামী শুকদেব যাদব ও তার অনুগামীরা আর উদ্বোধনে আসেননি।
তৃণমূলের মহিলা কর্মী বেবি দাস জানিয়েছেন বলেন,’এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ি স্কুল দরকার। ননী চৌধুরী জমি দান করেছিলেন স্কুল বা শিশুদের পার্ক তৈরির জন্য। দলের কার্যালয় তৈরির জন্য নয়। সে কারণে তালা দিয়েছি।’
স্থানীয় তৃণমূল নেতা শুকদেব জানিয়েছেন,’গত চার বছর ধরে ওখানে দলের কাজকর্ম চলছিল। প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিলাম। বিরোধীদের উস্কানিতে বিক্ষোভ করেছেন যারা, তারা এখন তৃণমূলের কেউ নন।’