অবশেষে জল্পনার অবসান ঘটলো। প্রত্যাশা মতোই রবিবার বিকেলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করলেন তিনি।
বিগত কয়েকমাসে পাটশিল্প নিয়ে মত বিরোধের জেরে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল অর্জুন সিংহের। জল্পনা শুরু হয় তাঁর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে অর্জুনের একাধিক তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তা আরও দৃঢ় হয়। এরপরেই ভাটপাড়া থেকে বিকেলে কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে আসেন বিজেপি সাংসদ। তার আগে ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুল রহমান, ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী প্রমুখদের সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন অভিষেক। এরপর অভিষেকের হাত ধরে প্রায় তিন বছর পরে পুনরায় তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটলো অর্জুন সিংহের।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ৩০ মে অর্জুন সিংহের উপস্থিতিতে ব্যারাকপুর লোকসভার অধীন শ্যামনগরে অন্নপূর্ণা জুটমিলের মাঠে জনসভা করবেন বলে জানা গিয়েছে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর সেই সভাতেই তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন অর্জুনের বিধায়ক পুত্র পবন সিং।
অন্যদিকে অর্জুন সিংহের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে অন্য তত্ত্ব শুনিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “অর্জুন চাপে পড়ে চলে গিয়েছে। ওঁর একাধিক ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর পর হয়তো আর লড়াই করা সম্ভব ছিল না। প্রশাসনিক চাপ সহ্য করতে পারছেন না তাই আত্মসমর্পণ করেছেন।”