চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদে দলের তরফে টিকিট পেলেন না তৃণমূলের প্রাক্তন খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ কণিকা মান্ডি। কিন্তু তৃণমূলের তরফে জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগেই নির্দল হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করলেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন দলের তরফে জেলা পরিষদের তাঁর নামই বিবেচিত হবে। এখনও কোন প্রার্থীকে দলের প্রতীক দেওয়া হয়নি বলেও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বুধবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের তরফে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ডেবরা জিপি ৩১ নম্বর এসটি আসনে প্রার্থী হয়েছেন শান্তি টুডু। কণিকা মান্ডির দাবি, সেই আসনে তাঁকে প্রার্থী করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল দলের তরফে। তাছাড়া দলের তরফে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগেই মনোনয়ন পেশ করেন তিনি। তিনি বলেন, “দলের তরফে এখনও কাউকে এখনও দলীয় চিহ্ন দেওয়া হয়নি। দলের প্রতি আমার আশ্বাস ও বিশ্বাস আছে তাই মনোনয়ন করেছি।” কণিকা আরও বলেন, “২০১৮ তে আমি দলে আসার পর দিদি এসে আমায় এক বছরের জন্য খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ ঘোষণা করেছিলেন। আর আমি বেঁচে আছি অভিষেকদার জন্য। উনিই আমায় সঠিক ভাবে কাজের পথ দেখিয়েছেন ও দিদি আমায় কাজের সুযোগ দিয়েছেন। আমার দলের প্রতি বিশ্বাস ও আশ্বাস আছে আমি টিকিট পাবো।”
ডেবরার ৩১ নম্বর আসনের প্রার্থী শান্তি টুডুর বিরুদ্ধে কণিকার অভিযোগ, “২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় শান্তি টুডু বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন। তিনি ২০২১ সালে রাধাকান্তের হাত ধরে বিধায়কের কাছাকাছি এসে টিকিটের দাবিদার হয়ে গেছেন। সেক্ষেত্রে আমি কেন দাবিদার হতে পারবো না!” তাঁর আরও অভিযোগ, “লোকসভা নির্বাচনের সময় আমি মার খেয়েছি। রাধাকান্ত মাইতি বিজেপি থেকে এসে টিকিট পেয়েছেন এবং তাঁর হাত ধরে শান্তি টুডু টিকিট পেয়েছেন।”
দলের ব্লক সভাপতি সম্পর্কে কণিকার অনুযোগ, “মানসবাবু, অজিত মাইতি থাকাকালীন আমায় ব্লক সভাপতি ডেকে ৩১ নম্বর আসনে মনোনয়ন জমার কথা বলেছেন। তারপর কি হয়েছে আমি জানি না।” তিনি বলেন, “খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ হওয়ার পর আমি সততার সঙ্গে সঠিক কাজ করেছি। ব্লক গুলিতে ৩০ থেকে ৪০ বার করে গেছি। আমি আশাবাদী দল আমাকেই টিকিট দেবে।” দলের তরফে প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পর তিনি স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন, তিনি কোনোভাবেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করছেন না।