চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
ভোট হয়েছিল ২০১৮ সালে। ৫ বছর গড়িয়ে ফের এক পঞ্চায়েত ভোটের ঘোষণা হয়েছে রাজ্যে। কিন্তু এই ৫ বছরের মধ্যেও পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হয়নি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে। তৃণমূল-বিজেপি টানাপোড়েন, হাইকোর্টে মামলা, দলবদল মিলিয়ে সরগরম থেকে স্থানীয় রাজনীতি৷ এখন পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর বঞ্চনার অভিযোগ এনেছেন এলাকাবাসীদের একাংশ। যদিও কেশিয়াড়ির তৃণমূল নেত্রী তথা দলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদিকা কল্পনা শীটের দাবি, পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন না হলেও ব্যহত হয়নি পঞ্চায়েতের উন্নয়ন।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ২৫টি আসনের মধ্যে ১৩টিতে জিতেছিল বিজেপি ও বাকি ১২টিতে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও বোর্ড গঠন করতে পারেনি বিজেপি। হয়েছে হাইকোর্টে মামলা। আদালতের নির্দেশের পরেও সুরাহা হয়নি। দফায় দফায় দল বদল করেছেন তৃণমূল-বিজেপি দুই পক্ষেরই পঞ্চায়েত সদস্যরা। কেশিয়াড়িতে এসে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের নেতাদের একাংশের ‘ভুল’ স্বীকারও করেছিলেন। সেই সময়ে তৃণমূলে থাকা শুভেন্দু অধিকারীকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন এলাকার। তারপর হলদি নদী দিয়ে অনেক জল প্রবাহিত হয়েছে। বিজেপিতে গিয়েছেন শুভেন্দু। দলবদলের পর তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যা গরিষ্ঠ হলেও বোর্ড গঠন হয়নি। সেই সময়ে শাসক দলেরই একাংশ এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরও অভিযোগ এনেছে।
এখন ফের পঞ্চায়েত নির্বাচন সমাগত। ঘোষিত হয়েছে ভোটের তারিখ। তৃণমূল নেত্রী কল্পনা শীটের দাবি এলাকায় উন্নয়ন হয়েছে। বোর্ড গঠন না হলেও উন্নয়ন কোনো ভাবেই ব্যহত হয়নি। তিনি GNE Bangla-র প্রতিনিধিকে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিনিয়ত মানুষের কথা ভাবেন, মানুষের জন্য কাজ করেন। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধুর মতো উন্নয়ন মূলক প্রকল্প সার্বিক ভাবে পৌঁছেছে সকলের কাছে। এলাকায় রাস্তা ঘাট, পানীয় জল হয়েছে। ১০০ ভাগের মধ্যে ৮০ ভাগ কাজ আমরা করে উঠতে পেরেছি। প্রত্যন্ত গ্রামেও ঢালাই রাস্তা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর পথশ্রী রাস্তাশ্রী প্রকল্পে প্রত্যেক অঞ্চলে দুটো একটা করে কাজ চলছে। কাজ হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি থেকেও। এসসি এসটি এলাকাতে সাবমার্সেবল বসিয়ে, পাইপ লাইন করে বাড়িতে বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কাঠের সেতুর জায়গায় কংক্রিটের সেতু হয়েছে। পুরো কেশিয়াড়ি ব্লক জুড়ে কাজ হচ্ছে।” তিনি বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন, “কেন্দ্রীয় সরকার টাকা আটকে রেখেছে। গরীব মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা কৌশলে আটকে দেওয়া হয়েছে।”