রাজ্য সরকারের তরফে প্রত্নতাত্ত্বিক মর্যাদা অবশেষে পেতে চলেছে শালবনীর রানী শিরোমনির স্মৃতি বিজড়িত কর্ণগড়। বর্তমানে সেখানেই আছে চুয়ার বিদ্রোহের অন্যতম নেত্রী রানী শিরোমনির গড়ের ধ্বংসস্তুপ। মেদিনীপুরের বাসিন্দাদের তরফে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করা হচ্ছিল কর্ণগড়ের প্রত্নতাত্ত্বিক স্বীকৃতি।
প্রত্নতাত্ত্বিক মর্যাদার দাবিতে দীর্ঘদিনের দাবি গতি পেয়েছিল বিগত তিন বছরে। আন্দোলনে তৈরি হয়েছিল ভালোবাসি কর্ণগড়, হেরিটেজ জার্নি, রানী শিরোমণি ঐক্য মঞ্চ সংগঠন। তাদের তরফে শুরু হয়েছিল জনসমর্থন সংগ্রহের কাজ। সমাজমাধ্যমে প্রচারের পাশাপাশি হয়েছে ক্রমাগত ইতিহাস ভিত্তিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব নিয়ে লেখালেখি, দুটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ও একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ, সমস্ত দপ্তর ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে আবেদন চলেছে সমান তালে। আবেদন জানানো হয়েছিল বিধায়িক জুন মালিয়া ও দীনেন রায়ের কাছেও। ঐতিহাসিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে ঐতিহাসিক স্থাপত্যের চিহ্নিতকরনের কাজও চলেছে। এই আন্দোলনকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান সমর্থন জানিয়েছে। ঋষি অরবিন্দ শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়, ওয়েস্ট মিডনাপুর সাইক্লার্স ক্লাব, দণ্ডভুক্তি একাদেমি তাদের অন্যতম।
- Advertisement -
কর্ণগড় আন্দোলনের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরেই ওতপ্রোতভাবে জড়িত মেদিনীপুরের কবি ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাতা নিসর্গ নির্যাস মাহাতো। আন্দোলনের সাফল্যের মুখে রাজ্য সরকার, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর, জেলাশাসক, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিককে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “প্রায় ৩ বছরের লড়াই। অবশেষে খাতায় কলমে প্রত্নতাত্ত্বিক মর্যাদা পেতে চলেছে কর্ণগড়। আনন্দে কান্না পাচ্ছে।” আন্দোলনের পথে একাধিক সংগঠন, জনপ্রতিনিধি ও সুনীল বিশ্বাস, মুস্তাফিজুর রহমান, তন্ময় সিংহ, তীর্থঙ্কর ভকত সহ বহু ব্যক্তিত্বের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে আন্দোলনে নিজের সহযোদ্ধাদের ও মেদিনীপুরবাসীকে জানিয়েছেন অভিনন্দন।